ঢাকা, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি’র সাথে আজ তাঁর কার্যালয়ে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট দক্ষিণ এশিয়ার ডিরেক্টর ডাঃ মুকুল শর্মাসহ ইউএসএইড দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় জাতীয় সংসদ, সংসদীয় স্ট্যান্ডিং কমিটি, সংসদ সদস্য ও ক্লাইমেট পার্লামেন্টের ভূমিকাসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ক্লাইমেট পার্লামেন্টের কাজের ধরন নিয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সদ্যসমাপ্ত ‘রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিট ২০২৩’ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। তিনি বলেন, ক্লাইমেট পার্লামেন্টের বিভিন্ন সামিটে জাতীয় সংসদ সদস্যদের সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
স্পীকার বলেন, রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিটে যেসকল ধারণা ও মডেল উপস্থাপিত ও আলোচিত হয়েছে তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, দেশ ও সীমানার উর্ধ্বে উঠে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার মাধ্যমে সামিটে আলোচিত বিভিন্ন মডেল প্রয়োগ করা যেতে পারে।
স্পীকার এসময় রিজিওনাল ক্লাইমেট সামিটে গৃহীত সকল সিদ্ধান্তের অনুলিপি জাতীয় সংসদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় গৃহীত কর্মসূচীগুলো সম্পর্কে হালনাগাদ তথ্য ক্লাইমেট পার্লামেন্টকে জানতে হবে।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় টেকসই সমাধান খুঁজে বের করতে হলে ক্লাইমেট পার্লামেন্টকে জাতীয় সংসদ সদস্য, সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ধরনের স্টেকহোল্ডারদের সাথে সম্পৃক্ততা বাড়াতে হবে।
ক্লাইমেট পার্লামেন্ট দক্ষিণ এশিয়ার ডিরেক্টর ডাঃ মুকুল শর্মা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় টেকসই সমাধান খুঁজতে ক্লাইমেট পার্লামেন্ট কাজ করে যাচ্ছে। এসময় তিনি জাতীয় সংসদের স্পীকারের তত্ত্বাবধানে সংসদ সদস্যগণের অংশগ্রহণে বৃহৎ পরিসরে ক্লাইমেট সামিট সংঘটিত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এসময় ক্লাইমেট পার্লামেন্টের পলিসি ডিরেক্টর ডাঃ সুমেধা বসু, ইউএসএআইডি দক্ষিণ এশিয়ার জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মোনালি হাজরা এবং রিসার্চ ট্রায়াংগেল ইন্সটিটিউটের প্রধান রাকেশ গোয়েলসহ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০০:৫৪ ৯০ বার পঠিত