সংসদে ‘কপিরাইট বিল, ২০২৩’ পাস

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সংসদে ‘কপিরাইট বিল, ২০২৩’ পাস
সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩



সংসদে ‘কপিরাইট বিল, ২০২৩’ পাস

অজ্ঞাতনামা বা ছদ্মনামীয় কাজের স্বত্বাধিকারীর সংজ্ঞা নির্ধারণ করে জাতীয় সংসদে আজ ‘কপিরাইট বিল, ২০২৩’ পাস করা হয়েছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ আজ জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
কপিরাইট আইন, ২০০০ রহিত করে যুগোপযোগী করে নতুন আইন করতে বিলটি আনা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, কপিরাইটের মেয়াদ হবে ৬০ বছর।
বিলে প্রকাশনা, চলচ্চিত্র, ডিজিটাল কাজ, নাটক, লোক কাহিনি, শিল্পকলা এবং অডিও রেকর্ডিংয়ের মৌলিক কাজের অধিকার রক্ষার কথা বলা হয়েছে। বিলে অজ্ঞাতনামা বা ছদ্মনামীয় কর্মের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, ‘একক বা যৌথভাবে রচিত ও ছদ্মনামে প্রকাশিত কোনো কর্মের ক্ষেত্রে প্রণেতার পরিচয় প্রকাশ হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রকাশক কর্তৃক জনসাধারণ্যে প্রকাশিত প্রণেতা অথবা তার আইনানুগ প্রতিনিধি।’
বিলে তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক ডিজিটাল কর্মের সংজ্ঞাও নির্ধারণ করা হয়েছে। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে প্রতিমন্ত্রী বলেন, সৃজনশীলতা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে যে মেধাসম্পদ তৈরি হয়, তার আইনগত স্বীকৃতি ও সুরক্ষার জন্য কপিরাইট একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। গত দুই দশকে প্রযুক্তির অসামান্য উন্নতির প্রেক্ষাপটে মেধাস্বত্বের ব্যবহার ও প্রযুক্তি নির্ভরতা বহুগুণ বেড়েছে এবং পাইরেসি বৃদ্ধির কারণে মেধাসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও সুরক্ষায় বিদ্যমান কপিরাইটের অধিকতর সংশোধন করা প্রয়োজন হওয়ায় বিলটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, সময়ের প্রেক্ষাপটে বিলে বেশ কিছু নতুন সংজ্ঞা সংযোজন ও বিয়োজন করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা বা ছদ্মনামীয় কর্মের স্বত্বাধিকারী, ডাটাবেজ, পাবলিক ডোমেইন, ফনোগ্রাম প্রডিউসার, ব্যক্তি, লোকজ্ঞান, লোকসংস্কৃতি, সদ্ব্যবহার, সম্পাদক, সম্পৃক্ত অধিকার এর সংজ্ঞাসমূহ নতুন সংযোজিত করা হয়েছে; মারাকেশ ট্রিটির সঙ্গে সংগতি রেখে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের জন্য ধারা সংযোজন করা হয়েছে; পাইরেসি প্রতিরোধে নতুন ধারা প্রস্তাব করা হয়েছে; মেধাস্বত্ব আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে টাস্কফোর্সের বিধান সংযোজন করা হয়েছে; ডিজিটাল কর্ম ও কম্পিউটার ভিত্তিক কর্মসমূহের কার্যক্রমকে প্রস্তাবিত আইনে হালনাগাদ করা হয়েছে; ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কপিরাইট লঙ্ঘন প্রতিরোধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে; লোকজ্ঞান ও লোকসংস্কৃতি অধিকার সুরক্ষার জন্য একটি স্বতন্ত্র অধ্যায় সংযুক্ত করা হয়েছে; রয়্যালিটি সংশ্লিষ্ট নতুন একটি অধ্যায় সংযোজন করা হয়েছে এবং ভেটিংকৃত আইনটি মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এর তফসিলভুক্ত করা হয়েছে।
বিল পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় সদস্য ফখরুল ইমাম, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, শামীম হায়দার পাটোয়ারি, বেগম রওশন আরা মান্নান, গণফোরামের মোকাব্বির খান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।

বাংলাদেশ সময়: ২৩:০৫:৫১   ১১২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


কুয়াকাটায় প্লাস্টিক দূষনের ভয়াবহতা চরমে
বিনিয়োগ ও বাণিজ্য প্রসারে পর্যটনের অবদান অপরিসীম - হাসান আরিফ
মসজিদে নববীর আদলে গড়ে তোলা হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ - ধর্ম উপদেষ্টা
বাংলাদেশ চোখের সেবা সম্প্রসারণে অরবিসের সাথে কাজ করতে আগ্রহী : অধ্যাপক ইউনূস
এলডিসি দেশগুলোর জন্য ডলার বরাদ্দে ইইউর সমর্থন চাইল বাংলাদেশ
ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে হাব-এর মতবিনিময় সভা
আদানির সঙ্গে আড়াইশ’ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি বাতিল কেনিয়ার
বেনাপোল সীমান্ত থেকে ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ
সাংবাদিকদের হত্যা মামলায় জড়ানো নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যকে স্বাগত জানালো আরএসএফ
লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮২ জন

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ