সংসদ ভবন, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ : কৃষি জমির মালিকানা ৬০ বিঘার বেশি নয়, এই বিধান রেখে জাতীয় সংসদে ভূমি সংস্কার বিল, ২০২৩ পাস হয়েছে। আইন অনুসারে, কোনো ব্যক্তির ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকলে সরকার অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে।
১৯৮৪ সালের ল্যান্ড রিফর্মস অর্ডিন্যান্স রহিত করে ভূমি সংস্কার আইন করা হয়েছে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আজ জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, ৬০ বিঘার বেশি কৃষি ভূমির মালিক বা তার পরিবার হস্তান্তর, উত্তরাধিকার, দান বা অন্য কোনও উপায়ে নতুন কোনও কৃষি ভূমি অর্জন করতে পারবে না। তবে ৮টি ক্ষেত্রে এটি শিথিল থাকবে।
বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রী জানান, এই বিধানটি সমবায় সমিতি, চা বাগানের মালিক, কফি, রাবার ও ফলের বাগান বা শিল্প কারখানার কাঁচামাল উৎপাদনকারী জমির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।
তিনি বলেন, রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান, ওয়াকফ এবং ধর্মীয় ট্রাস্টসহ শিল্প ও কৃষি-প্রক্রিয়াকরণ ব্যবসার জমির মালিকরাও এই বিধান থেকে অব্যাহতি পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যদি একজন ব্যক্তির ৬০ বিঘার বেশি জমি থাকে (বিঘা প্রতি ৩৩ শতক), তাহলে সরকার অতিরিক্ত জমি অধিগ্রহণ করতে পারবে।’
এছাড়া জমি সংক্রান্ত আইন কেউ ভঙ্গ করলে ১ লাখ টাকা জরিমানা, ১ মাসের জেল বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
বিল পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, রুস্তম আলী ফরাজী, ফখরুল ইমাম, শামীম হায়দার পাটোয়ারি, বেগম রওশন আরা মান্নান, পীর ফজলুর রহমান এবং গণফোরামের মোকাব্বির খান।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৩:৪৩ ২১৪ বার পঠিত