সরকারের বিরুদ্ধে দেশি -বিদেশি যড়যন্ত্র করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ‘বিএনপি জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে’র প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশ তিনি এ মন্তব্য করেন।
হানিফ বলেন, যারা যড়যন্ত্র করছে তাদের বলব, এই সরকারের বিরুদ্ধে যড়যন্ত্র করে পতন ঘটানো যাবে না। বিদেশি যারা গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবতার কথা বলে তারা এই ষড়যন্ত্রকারীদের সঙ্গে থাকবে না। আশা করি, সকল দল নির্বাচনে অংশ নেবে। নির্বাচনে অংশ নিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। বিএনপি-জামায়াতের অশুভ তৎপরতা নসাৎ করে দিয়ে শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনব।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুলের এখন আর হাসি খুশি মুখ নেই। স্যাংশন ভিসা নীতি করে ভেবেছিল, তারা ক্ষমতায় এসে গেছেন। কিন্তু এখন মুখ শুকিয়ে গেছে। বিএনপি ভেবেছিল হেফাজতের সমাবেশ যোগ দিয়ে সরকার পতন হবে।
অধিকারের চেয়ারম্যান আদিলুর রহমানের সাজার বিষয়ে যড়যন্ত্র হচ্ছে দাবি করে হানিফ বলেন, হেফাজতের মহাসমাবেশ ৬১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অধিকার বলেছিল। সেই মিথ্যা প্রচারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। তার দুই বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এজন্য মির্জা ফখরুলের দুঃখ কীসের। এই স্বাধীনতা বিরোধীরা এক হয়ে সরকার পতন ঘটাতে চায়। বিদেশি বন্ধুদের বলব, জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেকে বিরত থাকুন। আমরা পরিষ্কার করে বলছি, বিএনপি জামায়াত কর্মসূচি দিলে আমরা রাজপথে থেকে তাদের যেকোনো ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করব।
হেফাজতের আন্দোলনের ওপর ভর করে সেসময় বিএনপি ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখেছিল উল্লেখ করে হানিফ বলেন, খালেদা জিয়া ভেবেছিলেন, হেফাজতের আন্দোলনে সরকার নেমে যাবে। ২০০ গরু মেরে খাওয়ার ব্যবস্থার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের সময় ফটোগ্রাফার শহিদুল আলমের আল জাজিরায় সাক্ষাৎকার নিয়ে সমালোচনা করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ।
তিনি বলেন, শহিদুল আলম একাত্তরের পরাজিত শক্তির বংশধর। তিনি রাজাকার সবুর খানের ভাগ্নে।
সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, অধিকার (মানবাধিকার সংগঠন) তাদের ওয়েবসাইটে বলেছিল ৬১ জন নিহত হয়েছে। সেটা যে মিথ্যা তথ্য ছিল গণমাধ্যমে সেটা উঠে এসেছিল। তারপরও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র চলছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নিন্দা জানিয়েছেন। আগামী ৪৫ দিন রাজপথে থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লড়াই সংগ্রাম করবে।
সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১২:২৭ ৯৭ বার পঠিত