মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, পঁচাত্তরের পর দেশে নির্বিচারে হত্যাকারীদের বিচারে আলাদা কমিশন গঠন করা হবে। এজন্য আমি আইনমন্ত্রীকে বলেছি আইন করে কমিশন গঠন করতে। এসব খুনিদের মরণোত্তর বিচার করতে হবে, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। তাহলেই এ জাতি দায়মুক্ত হবে। আমরা এই কলঙ্ক দীর্ঘদিন বয়ে বেড়াতে চাই না।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রংপুর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘মায়ের কান্না’ সংগঠনের উদ্যোগে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার সময় কারও মানবতা দেখিনি। তখন দায়মুক্তির আইন করে খুনিদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জাতির পিতাকে হত্যা করে তার বিচার চাওয়া যাবে না এই আইন করে চরম মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। এখন দেশে মানবাধিকার মানবাধিকার বলে বেড়ানো দেশগুলো তখন কোথায় ছিল?
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার বলে বেড়ানোরা মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। সপ্তম নৌবহরও পাঠিয়েছিল যেন বাংলাদেশ বিজয়ী হতে না পারে। বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘের সদস্য পদের জন্য আবেদন করলে তারা তখন বলেছিল বাংলাদেশ চিরদিনের জন্য বিশ্বের বোঝায় পরিণত হবে। আজ তাদের দেশে নির্বাচনে ফেল করলে দলের নেতারা নির্বাচন মানেন না। তাই তাদের বলছি, অপরকে বলার আগে নিজের চেহারা আয়নায় দেখেন, তাহলে লাভ হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে জিয়াউর রহমান গুমের রাজনীতি শুরু করেছিল। তারা সেনা ও বিমানবাহিনীর সদস্যদের বিনা বিচারে হত্যা করেছিল। জুন মাসে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে, অথচ রায় হয়েছে ডিসেম্বর মাসে, এমন ঘটনাও ঘটেছে।
আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মায়ের ডাকের অভিযোগ কাল্পনিক, মায়ের কান্না’র অভিযোগের দালিলিক প্রমাণ রয়েছে। তাই দালিলিক প্রমাণ গ্রহণ না করে কাল্পনিক কথা বলে তোলপাড় করা এমন মতলববাজি দীর্ঘদিন চলতে পারে না।
মায়ের কান্নার উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য নাহিদ এজাহার খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য আবুল কালাম মো. আহসানুল হক চৌধুরী ডিউক, একুশে পদকপ্রাপ্ত মানবাধিকার কর্মী এসএম আব্রাহাম লিংকন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৩:৩০ ১৩৮ বার পঠিত