বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

পর্যটন শিল্প দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অন্যতম হাতিয়ার - স্পীকার

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » পর্যটন শিল্প দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অন্যতম হাতিয়ার - স্পীকার
বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩



পর্যটন শিল্প দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অন্যতম হাতিয়ার - স্পীকার

ঢাকা, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন,বাংলাদেশ সামগ্রিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের সাথে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে সম্পৃক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, পর্যটন শিল্প দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে অন্যতম হাতিয়ার।

তিনি আজ রাজধানীস্থ বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২৩’ উপলক্ষে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের আয়োজনে মুজিব’স বাংলাদেশ উদযাপনে ৪ দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে এসব কথা বলেন।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: মোকাম্মেল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন। অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মো: রাহাত আনোয়ার।

স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বিশ্বের বুকে পর্যটন শিল্পে এক অপার সম্ভাবনার নাম বাংলাদেশ। বাংলাদেশ অপার সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং গৌরবময় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির ধারক ও বাহক। তিনি বলেন, এদেশের প্রাকৃতিক রূপ-বৈচিত্র্য অন্য দেশের থেকে অনন্য এবং একক বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত, তাই পর্যটন শিল্পে বাংলাদেশের সম্ভাবনা প্রতিনিয়ত বাড়ছে।

স্পীকার বলেন,এদেশের মানুষ অতিথিপরায়ন এবং বন্ধুবৎসল। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, প্রত্নতাত্মিক নিদর্শন, ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি, দীর্ঘতম অখণ্ড সমুদ্র সৈকত, বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন, প্রসিদ্ধ খাবার, সঙ্গীত এবং নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী ইত্যাদির আকর্ষণে বিদেশীরা এদেশে ছুটে আসে। তিনি বলেন, প্রতিবেশগত ভারসাম্য বজায় রেখে যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দায়িত্বশীল পর্যটন কার্যক্রম পরিচালনা এবং এর অর্থনৈতিক সুফল স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্নমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, দেশের অফুরন্ত পর্যটন সম্ভাবনাকে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের কাছে তুলে ধরতে সকলকে উদ্যোগী হতে হবে। সকলের আন্তরিক অংশগ্রহণের ফলেই পর্যটন শিল্প দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

এসময় স্পীকার ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’ এবং ‘প্লাস্টিক ফ্রি সেইন্ট মার্টিন’ উদ্যোগের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং এ অনুষ্ঠানের জন্য আয়োজকদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

এ অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য তানভীর ইমাম জয় এমপি, আশেক উল্যাহ রফিক এমপি এবং সৈয়দা রুবিনা আক্তার এমপি, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ, পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীবৃন্দ, বিভিন্ন স্টলের সত্ত্বাধিকারী, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ,সাংবাদিকবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫:৫৯:৫৭   ১৬৯ বার পঠিত