টস জিতে ব্যাট করতে দ্বিতীয়বার ভাবেননি দাসুন শানাকা। কারণ হিসেবে জানালেন, এই প্রস্তুতি ম্যাচে ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ গুয়াহাটির উইকেট। লঙ্কানদের দুই ওপেনার শুরুটাও করেছিলেন দুর্দান্ত। ১৪ ওভারে দলীয় রান পার এক শ পার হয়।
মনে হচ্ছিল তিন শ ছাড়াবে দলীয় সংগ্রহ। তবে বোলারদের নৈপুণ্যে সেখান থেকে ঘুরিয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দেয় ২৬৩ রানে।
দীর্ঘদিন পর সুযোগ পেয়ে ওপেনিংয়ে নেমে ঝড় তুলেছিলেন কুশল পেরেরা। তবে ডান কাঁধে পাওয়া চোটে ২৪ বলে ৩৪ করে উঠে যেতে হয় তাকে।
অন্যপ্রান্তে কুশল মেন্ডিসকে সঙ্গে নিয়ে অর্ধশতক তুলে নেন আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা। ১৫তম ওভারে ৬৮ করা নিশাঙ্কাকে আউট করে ব্রেক থ্রু এনে দেন অফ স্পিনার শেখ মেহেদী। নিজের পরের ওভার করতে এসে ফেরান সামারাবিক্রমাকাকে। দুটি ক্যাচই নেন নাজমুল হোসেন।
প্রস্তুতি ম্যাচের মূল একাদশে নেই সহঅধিনায়ক নাজমুল। বিশ্রামে থাকলেও বদলি ফিল্ডার হিসেবে নামেন তিনি। চোটের কারণে এই ম্যাচে নেই নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিউজিল্যান্ড সিরিজের দুই ম্যাচে নেতৃত্ব দেওয়া লিটন দাস থাকলেও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অধিনায়কত্ব সামলান মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রস্তুতি ম্যাচের নিয়মনুযায়ী স্কোয়াডের সব ক্রিকেটার ম্যাচে অংশ নিতে পারবেন।
সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে মুস্তাফিজুর রহমান ছাড়া নিয়মিত সব বোলারকে প্রস্তুতির সুযোগ করে দেন মিরাজ। যদিও ফিল্ডিয়ে ক্যাচ নিয়েছেন মুস্তাফিজ।
ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ছাড়া আর কোনো ব্যাটারকে বড় ইনিংস খেলতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিয়েছে লঙ্কানদের। ৭৯ বল খেলে ধনঞ্জয়া করেন ৫৫ রান। বোলারদের ধারাবাহিক বোলিংয়ে ২৬৩ রানে প্রতিপক্ষকে থামিয়ে দেয় বাংলাদেশি বোলাররা। ৩৬ রানে ৩ উইকেট নেন মেহেদী। একটি করে উইকেট পান মিরাজ, তানজিম সাকিব, শরিফুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদ। হাসান মাহমুদের সঙ্গে নাসুম অবশ্য একটু খরুচে ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১:৫৮:১২ ১১৭ বার পঠিত