ঢাকা, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ : বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার মোঃ শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেধা, যোগ্যতা ও প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে দেশের সম্পদ বন্টনের নির্দেশনা দিয়েছিলেন। নারীরা বর্তমান সময়ে যোগ্যতার ভিত্তিতেই সকল সেক্টরে কাজ করে যাচ্ছে। কাজেই তাঁদের মজুরী পুরুষের তুলনায় কম হতে পারে না।
আজ (শনিবার) জাতীয় সংসদ ভবনের পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাবে লিডার্স, বিন্দু উন্নয়ন নারী উন্নয়ন সংগঠন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন এর উদ্যোগে আয়োজিত চিংড়ি শিল্পে নারী শ্রমিকের অবস্থানঃ বাস্তবতা ও প্রত্যাশা শীর্ষক জাতীয় সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডেপুটি স্পীকার এসব কথা বলেন।
জাতীয় সংলাপে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি ও শামসুন নাহার এমপি অংশগ্রহণ করেন।
ডেপুটি স্পীকার বলেন, কর্মজীবী নারীদের কর্মপরিবেশ সুস্থ্য ও স্বাভাবিক রাখতে সরকার কাজ করছে। উন্নয়নের মূল স্রোতে নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকারসহ সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় নারীকে সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন, স্থানীয় নির্বাচিত প্রতিনিধি, সাংবাদিক, শ্রমিক নেতাসহ সবার সম্মলিতি প্রচেষ্টায় তাঁদের সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ ও শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করা যেতে পারে।
মোঃ শামসুল হক টুকু এমপি বলেন, জাতীয় উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে পিছিয়ে থাকা নারীকে সম্মুখ সারিতে স্থান দিতে হবে। এ জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার নারী শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।
সংলাপে উত্থাপিত মূল প্রবন্ধে বলা হয়, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কাজ করলেও মজুরি বৈষম্যের বেড়াজাল থেকে শত চেষ্টার পরও বের হতে পারেনি চিংড়ি শিল্পের নারী শ্রমিকরা। মজুরি বৈষম্যের জন্য একজন নারী শ্রমিক বছরে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা কম আয় করেন।
প্রবন্ধে নারী চিংড়ি শ্রমিকদের সুরক্ষায় করণীয় নির্ধারণে পুরুষ শ্রমিকের ন্যায় নারী চিংড়ি শ্রমিকদের সমমজুরী প্রদান, চিংড়ি খামারে স্বাস্থ্যকর ও কাজের উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা, টয়লেটের ব্যবস্থা রাখা, প্রাথমিক চিকিৎসার সুযোগ সৃষ্টি করা, খামারে বিশ্রাম নেওয়া মত ছায়াযুক্ত স্থান ও খাবার পানির ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া বজ্রপাতের সময় তাৎক্ষণিক আশ্রয়ের জন্য সেডের ব্যবস্থা করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন ও দূর্যোগ মোকাবেলায় উপকূলীয় অঞ্চলের নারীদের জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিশেষ পদক্ষেপ করার আহ্বান জানানো হয়।
সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সাংবাদিক নিখিল চন্দ্র ভদ্র এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন ওয়াটারকিপার্স-বাংলাদেশের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মীর মোহাম্মদ আলী, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, উন্নয়নধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল ও একাত্তর টেলিভিশনের সহযোগী প্রধান বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসানসহ বিভিন্ন সংগঠনের কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৭:২২ ১০১ বার পঠিত