রাজধানীর হযরত শাহজালাল (রহ.) বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং করেন তিনি। এর আগে সরকারি ও বেসরকারি ৪টি বিমান পার্কিং করা হয় টার্মিনালে।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। মেগাসিটি ঢাকার বুকে যেন এক বিস্ময়কর সৃষ্টি। এর মধ্য দিয়ে দেশের প্রথম কোনো বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক মানের সেবা মিলবে। দুই লাখ ত্রিশ হাজার বর্গমিটার পরিসরের এ টার্মিনাল অত্যাধুনিক সব ধরনের সেবায় স্বস্তিবোধ করবেন যাত্রীরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় থাকছে অটোমেশন ব্যবস্থা।
আধুনিক সরঞ্জাম, স্বয়ংক্রিয় সেবা ও চোখ আটকে থাকা নকশা এরইমধ্যে আকৃষ্ট করেছে বিশ্বের নামিদামি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে। লক্ষ্য পূরণে বাড়বে যাত্রী সংখ্যাও। উন্নত সেবার বিপরীতে কয়েকগুণ আয় বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন। নিরাপদ ও স্বাচ্ছন্দ্য যোগাযোগ ব্যবস্থা আস্থার যোগান দেবে বিদেশিদের। ভারী হবে বিনিয়োগের পাল্লাও- এমনটা মনে করেন অর্থনীতিবিদরাও।
আজ উদ্বোধন হলেও তৃতীয় টার্মিনালে পুরোদমে যাত্রীসেবা মিলবে ২০২৪ সালের শেষ দিকে। এ স্থাপনাকে বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে নতুন সংযোজন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
শাহজালালের তৃতীয় এই টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পটি একনেকে অনুমোদন পায় ২০১৭ সালের ২৪ অক্টোবর। সে সময় ব্যয় ধরা হয় ১৩ হাজার ৬১০ কোটি টাকা। পরে আরও ৭ হাজার ৭৮৮ কোটি ৫৯ লাখ টাকা বাড়িয়ে প্রকল্পের আকার দাঁড়ায় প্রায় ২১ হাজার ৩৯৮ কোটি টাকা। নতুন করে তিন হাজার কোটি টাকা বাড়লে প্রকল্পের ব্যয় হবে ২৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
খরচের বেশিরভাগ আসছে জাপানি সহযোগিতা সংস্থা জাইকার কাছ থেকে। সংস্থাটি ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ১৬ হাজার ১৪১ কোটি ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। বাকি ৫ হাজার ২৫৮ কোটি ৩ লাখ ৮৮ হাজার টাকা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
বর্তমানে শাহজালালে যে দুটি টার্মিনাল রয়েছে তা এক লাখ বর্গমিটার জায়গার ওপর। তৃতীয় টার্মিনালটি বর্তমান দুটি টার্মিনালের দ্বিগুণের বেশি। ভবনটির আয়তন ২ লাখ ৩০ হাজার বর্গমিটার। এটির নকশা করেছেন স্থপতি রোহানি বাহারিন, যিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনালের নকশা করে বিশ্বে খ্যাতি কুড়িয়েছেন।
আরও পড়ুন: তৃতীয় টার্মিনাল ব্যবহারে চার বিদেশি বিমান সংস্থা আগ্রহী
থার্ড টার্মিনালটির ভবন হবে তিনতলা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শুরু হয় এর নির্মাণকাজ। এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়ামের মাধ্যমে জাপানের মিত্সুবিশি ও ফুজিটা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এই তিনটি প্রতিষ্ঠান থার্ড টার্মিনাল ভবন নির্মাণকাজ করছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৫:১০ ১৩১ বার পঠিত