বিগত চার বছরে পাশের দেশ ভারতে ৫ হাজার ৫৪১ মেট্রিক টন ইলিশ রফতানি হয়েছে। ২০১৯-২০২০ অর্থবছর থেকে চলতি অর্থবছর পর্যন্ত এ ইলিশ রফতানি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
বুধবার (১১ অক্টোবর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৩’ বাস্তবায়ন উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ইলিশ এখন শুধু আমাদের জাতীয় সম্পদই নয়, ইলিশ এখন কূটনীতির অংশে পরিণত হয়েছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতে দুর্গা পূজায় সীমিত পরিসরে ইলিশ রফতানি হয়ে থাকে। যা প্রতিবেশি দেশের কাছে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে এবং দুই দেশের বাণিজ্যিকসহ কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৯-২০২০ থেকে ২০২২-২০২৩ অর্থবছর পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৪১ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানি করা হয়েছে, যা মোট ইলিশ উৎপাদনের মাত্র দশমিক ৫ ভাগেরও কম। যা থেকে রফতানি আয় হয়েছে ৪৩৯ হাজার কোটি টাকা। সর্বশেষ ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ৩ হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানির জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ১০ অক্টোবর, ২০২৩ পর্যন্ত ৬০৯ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রফতানি করা হয়েছে। যা থেকে আয় হয়েছে ৬২ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ৬৮ কোটি ২০ লাখ টাকা)।
তিনি বলেন, সর্বশেষ ২০২২ সালে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযানের আওতায় ২ হাজার ৬২টি মোবাইল কোর্ট, ১০ হাজার ৮২১টি অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে ৩১ দশমিক ৪১ মেট্রিক টন ইলিশ, ৯১৯ দশমিক ৮৫ লাখ মিটার নিষিদ্ধ জাল জব্দ এবং ২ হাজার ৯০৮টি মামলার মাধ্যমে ২ হাজার ১০৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও ৪৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়া জব্দকৃত মালামাল নিলামে বিক্রয় করে ২২ লাখ ১১ হাজার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফলভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় বিগত বছর ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকরণের ২২ দিনে প্রায় ৫২ শতাংশ মা ইলিশ ডিম ছাড়তে সক্ষম হয়েছে। ফলে গত বছর প্রায় চার লাখ ৫ হাজার ৫১৫ কেজি ডিম উৎপাদিত হয়েছে যা থেকে প্রায় ৪০ হাজার ২৭৬ কোটি জাটকা ইলিশ যুক্ত হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
এসময় মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক খন্দকার মাহবুবুল হকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১২:৫৪:৩৮ ৮৬ বার পঠিত
