সংসদে ‘চিড়িয়াখানা বিল, ২০২৩’ পাস

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » সংসদে ‘চিড়িয়াখানা বিল, ২০২৩’ পাস
বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩



সংসদে ‘চিড়িয়াখানা বিল, ২০২৩’ পাস

সংসদ ভবন, ২৫ অক্টোবর, ২০২৩ : চিড়িয়াখানায় কোনো প্রাণীকে আঘাত করলে বা খাবার দিলে জেল-জরিমানা করার বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আজ ‘চিড়িয়াখানা বিল, ২০২৩’ পাস করা হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম আজ জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কণ্ঠভোটে এটি পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর আনীত জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে প্রেরণ সংক্রান্ত ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি করা হয়।
বিলে বলা হয়েছে, চিড়িয়াখানায় গিয়ে কোনো দর্শনার্থী কোনো প্রাণীকে জখম করলে বা কিউরেটরের নির্দেশনা অমান্য করে বা অনুমতি ব্যতীত খাবার সরবরাহ করলে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড অথবা অনধিক ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড বা উভয় দন্ডে দন্ডিত হবেন।
দেশের সরকারি সব চিড়িয়াখানা এই আইনের অধীনে পরিচালিত হবে। বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা উপদেষ্টা কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
বিলে বলা হয়েছে, চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীর বয়সজনিত শারীরিক অক্ষমতা বা সংক্রামক রোগ হতে অন্য কোনো প্রাণীর জীবন রক্ষার্থে বা জনস্বাস্থ্যের স্বার্থে সংশ্লিষ্ট প্রাণীর অসহনীয় ক্লেশ নিবারণের জন্য ব্যথাহীন মৃত্যু ঘটানো যাবে। সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোন চিড়িয়াখানায় বিদেশি প্রজাতির বন্যপ্রাণী কেনা, বিনিময়, উপহার হিসেবে বা অন্য কোনোভাবে সংগ্রহ করা যাবে না। চিড়িয়াখানার কোনো প্রাণীকে লোকালয়ে ছেড়ে দেওয়া যাবে না।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো দর্শনার্থী ফি ছাড়া চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করলে তার কাছ থেকে প্রবেশ ফির সমপরিমাণ মূল্য আদায় করা হবে। এ ছাড়া মাত্রা বিবেচনা করে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে। আর কোনো দর্শনার্থী চিড়িয়াখানায় কোনো প্রাণীকে উত্ত্যক্ত করলে তার কাছ থেকে ২ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ আদায় করা যাবে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এসব অপরাধের বিচার করা যাবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, চিড়িয়াখানায় কোনো নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া কোনো অবস্থাতেই একই প্রজাতির একই লিঙ্গের একটি প্রাণী রাখা যাবে না। ভেটেরিনারি কর্মকর্তার নির্দেশনা ছাড়া প্রকৃতিগত কারণে দলবদ্ধভাবে অবস্থানকারী প্রাণীদের মধ্য থেকে কোনো প্রাণীকে আলাদা বা এককভাবে রাখা যাবে না। প্রাণীর প্রকৃতি বিবেচনা করে ন্যূনতম প্রাকৃতিক পরিবেশ বা সুবিধাসম্পন্ন খাঁচায় আবদ্ধ বা মুক্ত রাখতে হবে। প্রাণীর প্রকৃতিগত আচরণ, সংশ্লিষ্ট প্রাণীর লালন-পালনে নিয়োজিত ব্যক্তি ও দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা বিবেচনা করে প্রাণীর খাঁচার অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। বিপন্ন প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য সরকার এক বা একাধিক চিড়িয়াখানা নির্দিষ্ট করতে পারবে।
বিল পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলীয় সদস্য মুজিবুল হক, ফখরুল ইমাম, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ, বেগম রওশন আরা মান্নান, পীর ফজলুর রহমান এবং স্বতন্ত্র সদস্য রেজাউল করিম বাবলু।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:৫৫:০৮   ১২৯ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
সাংবাদিক রাজু আহমেদের ব্যাংক হিসাব জব্দের নির্দেশ
মেয়াদউত্তীর্ণ পন্য বিক্রির দায়ে মুসলিম সুইটস ও কবির স্টোরকে জরিমানা
সোনারগাঁয়ে পুলিশের পৃথক অভিযানে গাঁজা-ইয়াবাসহ আটক ৩
শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে দলীয়করণ করা যাবে না: গিয়াসউদ্দিন
বেলজিয়ামের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহ বাড়ছে
ব্যাটারি-চালিত অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে সরকার
অর্থনৈতিক উন্নয়নের হাই-রোডে ওঠার জন্য কাঠামোগত রূপান্তরের পরবর্তী ধাপ জরুরি
হাজীদের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষায় সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ - ধর্ম উপদেষ্টা

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ