প্রখ্যাত গুণী সংগীতশিল্পী ডালিয়া নওশিনের কন্ঠে, ওয়ারফেজ খ্যাত কম্পোজার বাবনা করিমের ফ্ল্যামেনকো সংগীতের আয়োজনে প্রকাশ হতে যাচ্ছে ‘জোছনা করেছে আড়ি’ গানটি। শিগগিরই এ গানের একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশ হবে।
ফ্ল্যামেনকো-ক্ল্যাসিকাল সংগীত নির্ভর গানটিতে ফ্ল্যামেনকো গিটার বাজিয়েছেন বাবনা করিম, পিয়ানো বাজিয়েছেন রোমেল আলী, তবলা বাজিয়েছেন ভারতের অভিনব শর্মা। মিউজিক ভিডিও’র কোরিওগ্রাফি এবং কস্টিউম ডিজাইনে ছিলেন শারমিন নাহার লাকী। গানটির মিক্সিং এবং মাস্টারিং করেছেন ফুয়াদ ইবনে রাব্বি।
ডালিয়া নওশিন বলেন, ক্ল্যাসিকাল ঘরাণার এই গানটি গেয়েছিলেন কিংবদন্তি প্রয়াত শিল্পী ‘মল্লিকা-এ-গাজল’ বেগম আখতার। বাবনা যখন নতুন ধরনের মিউজিকে গানটি রেকর্ড করার প্রস্তাব নিয়ে আসে তখন মনে হয়, নিশ্চয়ই নতুন এবং ভিন্ন কিছু হবে। সত্যিকার অর্থেই ফ্ল্যামেনকো-ক্ল্যাসিকাল মিউজিকের কম্পোজিশনে গানটি নতুন রুপ পেলো। আমি চেষ্টা করেছি আমার দিক থেকে শতভাগ সেরাটা গাইবার।
বাবনা করিম বলেন, ফ্ল্যামেনকো স্প্যানিশ সংগীত হলেও উপমহাদেশের সংগীতের সঙ্গে এই সংগীতের ফিউশনে নতুন কিছু করার অপার সুযোগ রয়েছে। সেখানে থেকেই ‘জোছনা করেছে আড়ি’ গানটি ফ্ল্যামেনকো এবং ক্ল্যাসিকাল মিউজিকের আদলে নতুন করে সৃষ্টি করা। সময় এসেছে আমাদের সংগীতের সঙ্গে বিশ্বের নানা ধারার সংগীতের সংমিশ্রণে নিজস্ব সংস্কৃতিকে আরও বৃহৎ পরিসরে তুলে ধরার।
বাবনা করিম ভবিষ্যতে কাওয়ালী, সুফী, লালন এবং অন্যান্য সংগীতের সঙ্গে ফ্ল্যামেনকো মিউজিকের ফিউশনের পরিকল্পনার বিষয়েও জানান।
রোমেল আলী বলেন, সঠিকভাবে ফিউশনের মাধ্যমে নতুন ধরনের বাংলা সংগীতের সৃষ্টি হতে পারে এই ধারনা থেকেই গানটি করা। গানটি শ্রোতাদের ভালো লাগবে বলে আশা করি।
প্রসঙ্গত, ডালিয়া নওশিন দেশের স্বনামধন্য নজরুল এবং শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী। সংগীতে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার একুশে পদকে ভূষিত করে।
ব্যান্ড ওয়ারফেজের প্রাক্তন সদস্য বাবনা করিম বরাবরই তার ব্যতিক্রমী কথা, সুর, কম্পোজিশন এবং গায়কির জন্য সমাদৃত। ২০০৮ সাল থেকে বাবনা করিম এবং রোমেল আলী ফ্লামেনকো ফিউশন নিয়ে কাজ করছেন। রোমেল আলী দেশের জনপ্রিয় পিয়ানো বাদক এবং কম্পোজার।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:১৭:৪৫ ১০৯ বার পঠিত