জাতীয় সংসদে ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) বিল, ২০২৩’ পাস করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেকের পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন আজ জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বিলটির ওপর দেয়া জনমত যাচাই-বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন।
বিলটির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী সিলেট বিভাগে ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের নামে সিলেটে কোনো স্থাপনা বা প্রতিষ্ঠান না থাকায়, সিলেটের সর্বস্তরের জনগণের পক্ষে, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় এর নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট’ নামকরণের লক্ষ্যে ডি.ও. পত্র পাঠান।
তিনি বলেন, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩য় সিন্ডিকেট সভায় সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট’ নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ অনুযায়ী ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপিত হয় বিধায় নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন সংশোধন প্রয়োজন। তাই ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ এর খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ এর বিভিন্ন ধারায় উল্লিখিত ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’ অভিব্যক্তির পরিবর্তে ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট’ প্রতিস্থাপনের পাশাপাশি ‘সচিব’ অভিব্যক্তির পরিবর্তে ‘সদস্য-সচিব’ বা ‘সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবেন’ প্রতিস্থাপন, ‘চ্যান্সেলর, ভাইস-চ্যান্সেলর ও প্রো-ভাইস-চ্যান্সেলর’ অভিব্যক্তির পরিবর্তে যথাক্রমে ‘আচার্য, উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য প্রতিস্থাপন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মনোনীত কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক দ্বারা নিরীক্ষার কার্যক্রম সম্পাদনের সুযোগ রেখে প্রস্তাবিত আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে।
তাই ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১৮’ সংশোধনের লক্ষ্যে ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (সংশোধন) আইন, ২০২৩’ শীর্ষক বিলটি জাতীয় সংসদে আনা হয়।
বিলটি পাসের প্রক্রিয়ায় আলোচনায় অংশ নেন বিরোধী দলের সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, ফখরুল ইমাম, রুস্তম আলী ফরাজী, পীর ফজলুর রহমান, শামীম হায়দার পাটোয়ারী, হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ এবং রওশন আরা মান্নান।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:১১:০৯ ১২৬ বার পঠিত