পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বাংলাদেশ আশা করে যে ‘কপ-২৮ সংযুক্ত আরব আমিরাত’ অবশ্যই ইতিবাচক ফল দেবে। তিনি বলেন, ‘কপ-২৮’ এ ক্ষয়ক্ষতির তহবিল চালু এবং তহবিলের ব্যবস্থা করা, অভিযোজন সংক্রান্ত বৈশ্বিক কাঠামো চুক্তি ও ১.৫ ᴼC তাপমাত্রার লক্ষ্যের সাথে সঙ্গতি রেখে ‘২০৩০ প্রশমন’ লক্ষ্যগুলিকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি ন্যাপ এবং এনডিসি বাস্তবায়নে স্বল্পোন্নত দেশগুলির জন্য অর্থায়ন বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে পরিবেশমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার ছাড়াও, আমরা আশা করি যুক্তরাজ্যের সরকারও সমস্ত দেশকে একত্রিত করা এবং জলবায়ু সংক্রান্ত কর্মকান্ড সংহতি প্রদর্শনের জন্য অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাজ্য সরকারকে বাংলাদেশের অন্যতম বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার টেকসই উন্নয়নের যাত্রায় ‘লো-কার্বন গ্রিন ডেভেলপমেন্ট’ নীতি অনুসরণ করছেন। বাংলাদেশের ন্যাপ, এনডিসি, এমসিসিপি বাস্তবায়নে এবং জ্বালানি পরিবর্তন, জীববৈচিত্র, জলাভূমি ও বন সংরক্ষণে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন।”
ঢাকায় ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল বলেন, ক্ষয়ক্ষতির তহবিল চালুসহ জলবায়ু সংক্রান্ত পদক্ষেপ গ্রহন আমাদের অগ্রাধিকার। বর্তমান যুক্তরাজ্য সরকার জলবায়ু কার্যক্রমে দৃঢ় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য জলবায়ু চুক্তির ফলে এই দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও শক্তিশালী হবে।
বৈঠকে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক, অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) ড. ফাহমিদা খানম, অ্যানা ব্যালেন্স (জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক উপদেষ্টা) এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের মারজান নুর (পলিসি ম্যানেজার)।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৩৮:০৩ ১০৫ বার পঠিত