বেশ কয়েক বছর ধরেই বিশ্বের বড় বড় শহর ছাড়াও ছোট ছোট শহরেও বেড়েছে বায়ুদূষণ। মেগাসিটি ঢাকায়ও নেই স্বস্তির খবর। কখনও কখনও বৃষ্টি হলে দূষণ কিছুটা কমে। তবে সম্প্রতি বৃষ্টি কমে যাওয়ায় শহরটির বাতাস আবারও অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে।
সোমবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। এদিন বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সপ্তম অবস্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা। আর সবচেয়ে ভয়াবহ দূষণের কবলে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর শহর।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ঢাকার স্কোর ১৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত। আর একিউআই স্কোর ৩৭৮ নিয়ে এ তালিকায় শীর্ষে রয়েছে লাহোর।
ভারতের রাজধানী দিল্লি ৩১০ স্কোর নিয়ে রয়েছে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে। ২৯২ স্কোর নিয়ে পরের অবস্থানে রয়েছে দেশটির আরেক শহর কলকাতা। চতুর্থ স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের শহর করাচি। শহরটির একিউআই স্কোর ২৭০। এছাড়া ১৮২ স্কোর নিয়ে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয় শহর, ষষ্ঠ অবস্থানে থাকা কুয়েতের কুয়েত সিটির স্কোর ১৬৯। ১৬৬ ও ১৬৪ স্কোর নিয়ে যথাক্রমে অষ্টম ও নবম স্থানে রয়েছে চীনের দুই শহর শেনিয়াং ও সাংহাই। আর ১৬১ স্কোর নিয়ে দশম অবস্থানে আছে ইরাকের বাগদাদ শহর।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এদিকে ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৩০:৪৯ ৭৬ বার পঠিত