জাতীয় পার্টি (জাপা) প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ আসন্ন সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে জানিয়েছেন তার রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ। অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বহিষ্কৃত দলের সাবেক মহাসচিব রওশনপন্থী নেতা মশিউর রহমান রাঙা।
সম্প্রতি রাজধানীতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন নেতারা।
এদিকে দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের জন্য আসন ফাঁকা রেখেই চূড়ান্ত প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে জাতীয় পার্টি। তাতেও নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি নন রওশন। তার দাবি অনুযায়ী, দল গুছিয়ে এবং হেভিওয়েট বাকি নেতাদেরও প্রার্থী করা হলে নির্বাচন করবেন তিনি। অপরদিকে স্বতন্ত্র হিসেবে অংশ নেয়ার ঘোষণা দেন রওশনপন্থী নেতা মশিউর রহমান রাঙা।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আবারও দ্বন্দ্ব আর মতবিরোধ জাতীয় পার্টির শীর্ষ নেতাদের মাঝে। নানা নাটকীয়তার পর সোমবার (২৭ নভেম্বর) ২৮৭ আসনে দলীয় মনোনয়ন চূড়ান্ত করে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি।
দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ, তার ছেলে সাদ এরশাদসহ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতাকে বাদ রেখেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হয়। এতেই পার্টি ভাঙনের মুখে পড়েছে বলেই তাৎক্ষণিক দাবি করেন রওশন এরশাদের রাজনৈতিক সচিব গোলাম মসীহ।
এবার সেই সুরে রওশন এরশাদের মন্তব্যও জানিয়ে দিয়ে তাররাজনৈতিক সচিব গোলাম মসিহ আরও বলেন, সবকিছু ঠিকঠাক না হলে নির্বাচনে অংশ নেবেন না জাতীয় পাটির স্থপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদপত্নী রওশন
গোলাম মসীহ আরও বলেন,
রংপুর -৩ এবং আমাদের যারা নেতা আছেন, তাদের যদি মূল্যায়ন করা না হয়, তাহলে রওশন এরশাদ নির্বাচনে যাবেন না।
এদিকে দল থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ না করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন রওশনপন্থী মশিউর রহমান রাঙা।
রাঙা বলেন,
আমি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েই যাবো। যদি ওখানকার জনগণ মনে করেন, আমার নির্বাচন করার প্রয়োজন, তবে আমি ৩০ তারিখে মনোনয়নপত্র জমা দিবো।
তবে, দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলে করবেন বলেও জানান রাঙা।
চলতি মাসের ১৫ তারিখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
তফসিল অনুযায়ী,
নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়ন ফরম দাখিলের শেষ দিন ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, মনোনয়নের আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত এবং ভোটগ্রহণ ৭ জানুয়ারি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশন বসে ২০১৯ সালের ৩০ জানুয়ারি। সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে ভোট হতে হবে। গত ১ নভেম্বর থেকে এবারের নির্বাচনের ক্ষণগণনা শুরু হয়েছে। ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে ইসির। সে অনুসারে ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫১:৩৮ ১০২ বার পঠিত #নির্বাচন ২০২৪