নাটোরে হালতি বিলের পানি না নামায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে এবার পেঁয়াজ, রসুন, সরিষাসহ মশলা জাতীয় ফসল আবাদ হয়নি। প্রতিবছর অক্টোবরের মধ্যে বিলের পানি নেমে গেলেও এবার নভেম্বরের শেষেও জলাবদ্ধতা রয়েছে। এর কারণে জেলার প্রায় ২০ হাজার কৃষকের মাথায় হাত পড়েছে। সময়মতো খাল খনন না করায় পানি জমে এই দুর্ভোগ বলে জানান কৃষকরা।
সরেজমিনে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিবছর এই সময় মাঠজুড়ে সরিষা, পেঁয়াজ ও রসুনের আবাদের পাশাপাশি বোরো মৌসুমের ধানের বীজতলা তৈরি হয়। তবে এবার চিত্র উল্টো। প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টরের বিল পানিতে তলিয়ে রয়েছে। বিলের ওপরের অংশে মাত্র দুই থেকে ২৫০ হেক্টর শুকনো অবস্থায় রয়েছে। বিলে ফসল আবাদের পরিবর্তে চলছে নৌকা।
কৃষক নাসির হোসেন বলেন, প্রতিবছর এপ্রিলের শেষে বিলে পানি চলে আসায় জানুয়ারির শুরুতেই বোরো মৌসুমের ধান রোপণ করেন তারা। জানুয়ারিতে ধান রোপণের জন্য বিলে জলাবদ্ধতা থাকায় বীজতলা করতে পারছেন না কৃষকরা। বীজতলা করতে বিলের বাইরের জমি ভাড়া নিতে হচ্ছে তাদের। বিলের মধ্যে থাকা হালতি খাল খনন না করায় এই দুর্ভোগ বলে দাবি করেন ওই কৃষক।
কৃষক আফছার আলী বলেন, তার ৩০ বিঘা জমি জলাবদ্ধতায় রয়েছে। সরিষা আবাদ করতে পারেননি তিনি।
নাটোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, হালতি বিলে জলাবদ্ধতার কারণে সরিষা ও পেঁয়াজের আবাদ হয়নি। তবে হালতি বিলে বোরো ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর। বিলের বাইরে বীজতলা করে হালতি বিলে বোরো মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে বলে জানান তিনি।
নাটোর বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল করিম বলেন, বিলের মাঝখানে খোলাবাড়িয়া গ্রামে বসতি থাকায় তারা হালতি খাল পুনঃখনন করতে পারেননি। বিলের পানি নেমে গেলে খোলাবাড়িয়া গ্রামের পাশ দিয়ে নতুন করে খাল খনন করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৭:১৬ ১৪৫ বার পঠিত