দেশের কৃষিপণ্য আরও উন্নত করতে ও বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা করতে বাংলাদেশ ও আর্জেন্টিনার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে এ সমঝোতায় বাংলাদেশের পক্ষে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এবং আর্জেন্টিনার পক্ষে দেশটির অর্থমন্ত্রী সার্জিও টমাস মাসা স্বাক্ষর করেন।
এ সময় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিনসহ গবাদিপশুর খাবার আমদানি করি। আপনারা জানেন, দেশটি থেকে আমাদের দুই বিলিয়ন ডলার মূল্যের বেশি ভোজ্যতেল আনতে হয়। পোল্ট্রির প্রোটিন নির্ভর করে সয়াবিনের ওপরে আর সয়াবিন উৎপাদনে নেতৃত্বদানকারী দেশগুলোর একটি হচ্ছে আর্জেন্টিনা।’
সমঝোতা স্বারক স্বাক্ষরিত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন,
আমি মনে করি, এই সমঝোতা স্মারক সই করার মধ্য দিয়ে আমরা আর্জেন্টিনা থেকে সয়াবিন আনতে পারবো। এছাড়াও তাদের সঙ্গে আরও কৃষিপণ্যের ব্যবসাও হবে। সেই সঙ্গে আমাদের কৃষিকে উন্নত করতে তারা সহযোগিতা করবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, জলবায়ু সংকটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বিষয়ে আমরা একসঙ্গে কাজ করবো। আমি বলতে চাই, আমরা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছি। অনেক কৃষি পণ্যে আমরা উদ্বৃত্ত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আগামী দিনে উদ্বৃত্ত পণ্যের কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণের শিল্প স্থাপনে আমরা আর্জেন্টিনার সহযোগিতা নেব।
এছাড়া ব্রিডিংয়ের জাত উদ্ভাবন ও জৈবপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে আর্জেন্টিনার সহায়তা পাবার আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘এই সমঝোতার মাধ্যমে বিশ্বের আরেকটি প্রান্তে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিশ্বের দক্ষিণাঞ্চলে আমরা যেতে পারব। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর আর্জেন্টিনা খুবই সম্পদশালী দেশ। কাজেই বৈশ্বিক পর্যায়ের সহযোগিতায় এটি একটি নতুন অধ্যায়।’
আর্জেন্টিনায় পণ্য রফতানি করার বিষয়ে তিনি বলেন,
আমরা সেখানে হয় তো আম রফতানি করতে পারব। আলু প্রক্রিয়াজাত করতে পারলে সেটিও রফতানি করা সম্ভব। আপনারা জানেন, বাংলাদেশে পটেটো চিপস তৈরি হচ্ছে। তছাড়া আমরা সেখানে আনারসও রফতানি করতে পারব।
এসময় কৃষি সচিব ওয়াহিদা আক্তারসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪:৫৫:০৮ ১০১ বার পঠিত