ইদানীং নারীদের জরায়ুর টিউমারের আধিক্য বাড়ছে। আগে তেমনটা শোনা যেত না। তবে এখন সচেতনাও বেড়েছে নারীঘটিত নানারকম রোগের। সেক্ষেত্রে বলতে হয়, জরায়ুতে টিউমার হলে আগেভাগে বুঝতে পারলে চিকিৎসা সহজ হয়ে যায়। কিন্তু টিউমার হলেতো বুঝতে হবে। তাই এর লক্ষণগুলো জানা জরুরী-
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জরায়ুর মসৃণ কোষের অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে টিউমার বা ফাইব্রয়েড তৈরি হয়। ডিম্বাশয়ে উৎপন্ন সংবেদনশীল হরমোন ইস্ট্রোজেনের জন্য এটা হয়ে থাকে।
শরীরে ইস্ট্রোজেনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে টিউমারের আকার বেড়ে যায়। সাধারণত গর্ভকালে ইস্ট্রোজেন বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। দেহে এর মাত্রা কমে গেলে টিউমারের আকারও সংকুচিত বা ছোট হয়। যেমন মেনোপজের পর ইস্ট্রোজেনের পরিমাণ কমে যায়।
জেনে নিই জরায়ুর টিউমারের লক্ষণগুলো-
১. পিরিয়ডের সমস্যা: একজন নারীর পিরিয়ড শুরুর দিন থেকে ৫ থেকে ৭ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ৭ থেকে ১০ দিন পর্যন্ত হতে পারে। জরায়ুতে টিউমার হলে রক্তপাতের পরিমাণ বেড়ে যায়। চাকা চাকা রক্তপাতও হতে পারে।
২. অতিরিক্ত রক্তস্রাব: টিউমার হলে পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয়। কখনো কখনো অত্যধিক ব্যথা অনুভূত হয়।
৩. গর্ভপাত: জরায়ুতে টিউমার হলে তা ফেলোপিয়ান টিউবকে বন্ধ করে দেয়, যা গর্ভধারণ করতে বাধা দেয়। আবার গর্ভপাত হতেও দেখা যায়।
৪. ঘন ঘন প্রস্রাব: টিউমারের জন্য মূত্রথলিতে চাপ সৃষ্টি হয়। তাই বার বার প্রস্রাবের চাপ আসে। আবার কখনো কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দেয়।
৫. কোমরব্যথা: বড় আকারের টিউমারের ক্ষেত্রে অস্বস্তিসহ তলপেট ফুলে যেতে পারে। আবার কোমরব্যথাও হতে পারে।
এ টিউমার কোনো ধরনের লক্ষণ প্রকাশ ছাড়াও থাকতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য কোনো সমস্যা নিয়ে আল্ট্রাসাউন্ড করতে গেলে এটি ধরা পড়ে। টিউমারটির কারণে তলপেটে ব্যথা হয়। এটি আকৃতিতে অনেক বড় হলে অবশ্যই চিকিৎসা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৪:৩১ ১৪২ বার পঠিত