নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।
আজ সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে বিজয় দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।
দিবসটি উদযাপনের অংশ হিসেবে চ্যান্সারি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এর পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাই কমিশনার মো. মুস্তাফিজুর রহমান এই দিনে বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মুক্ত করতে বঙ্গবন্ধুর অতুলনীয় নেতৃত্ব ও তাঁর অবদান এবং স্বাধীনতাকামী লাখো মানুষের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগের কথা গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।
মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য ছিল শোষণ মুক্ত একটি উদার, উন্নত, সমতাভিত্তিক ও জনকল্যাণে নিবেদিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলা।
গত দেড় দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির ওপর আলোকপাত করে হাইকমিশনার আরো বলেন, এই অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য আমাদের সম্মিলিত শপথ ও প্রতিশ্রুতিগুলোকে আরো সুদৃঢ় করতে হবে।’
তিনি এই বিজয়ের মহৎ চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সমুন্নত রেখে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় অবদান রাখার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। কনস্যুলার সেলিম মো. জাহাঙ্গীর আলোচনায় অংশ নিয়ে দিবসটির তাৎপর্য তুলে ধরেন।
আলোচনা শেষে বাংলাদেশের জাতির পিতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারকারী শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও দেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এসময় বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০:০৫:১২ ১২৫ বার পঠিত