শীতের তীব্রতা বেড়েই চলেছে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। গেল এক সপ্তাহ ধরে এই জেরার তাপমাত্রা উঠানামা করছে ৯-১০ ডিগ্রির ঘরে। এবার পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা সারাদেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে জানিয়েছেন পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ।
সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর থেকেই উত্তর দিক থেকে হিমেল বাতাস বইতে শুরু করে। চারপাশে কুয়াছন্ন পরিবেশের সাথে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায়। মধ্যে রাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাঁদরে ঢেকে থাকছে চারপাশ। সকালের পর সূর্যের আলো দেখা মিললেও তেমন উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। ফলে শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষরা।
জেলার সদর উপজেলার চা শ্রমিক রুবেল হোসেন বলেন, কয়েক দিনের তুলনায় কুয়াশা কিছুটা কমলেও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শীতের কারণে আমরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছি না।
তেঁতুলিয়ার দেবনগড় ইউনিয়নের পাথর শ্রমিক আব্দুস সামাদ তিনি বলেন, আমরা শীতের কারণে নদীতে নেমে কাজ করতে পারছি না। কেউ আমাদের খোঁজখবরও নেয় না। এই সময়ে শীতবস্ত্র দিয়ে কেউ সহযোগিতা করলে আমরা উপকৃত হতাম।
আবহাওয়া পর্যেবক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ জেলা থেকে হিমালয় অনেক কাছে। ফলে প্রতিবছর তাপমাত্রা হ্রাস পায় এবং শীতের তীব্রতা বেশি থাকে।
জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বছর এই জেলায় শীত বেশি থাকে। এবারো শীতের তীব্রতা বাড়ার সাথে সাথে আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু করেছি। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের শীতবস্ত্র চেয়ে চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। যারা প্রকৃত গরিব, অসহায় ও শীতার্ত তাদের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৭:৫৬ ৮০ বার পঠিত