আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৬টি আসন আওয়ামী লীগ ছাড় দিলেও তাদের সঙ্গেই লড়তে হচ্ছে জাতীয় পার্টিকে (জাপা)। ছাড় পেয়েও স্বস্তিতে নেই জাপা। সমঝোতায় পাওয়া ১০টি আসনে কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে থাকলেও বাকি ১৬টি আসনেই শক্ত অবস্থানে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।
যদিও ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে সুবিধা নিলেও তা মানতে নারাজ দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। বরং অ্যান্টি আওয়ামী লীগ ভোটে নেতাকর্মীদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন সরকার গঠনের।
জাতীয় পার্টি মানেই যেন আনপ্রডিকটেবল। আর ভোট এলে তাদের ক্ষণে ক্ষণে সিদ্ধান্ত বদল আর অভ্যন্তরীণ কোন্দল নতুন কিছু নয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত থেকে শুরু করে মহাজোটের সঙ্গে আসন ভাগ সব কিছুতেই ছিলো সাসপেন্স।
যদিও তলে তলে বৈঠক করে ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে আদায় করে নিয়েছে ২৬টি আসন। তবে নৌকার প্রার্থী প্রত্যাহার করলেও এর অন্তত ১৬ আসনে রয়েছে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী। আবার তিনটি আসনে রয়েছে নিজেদেরই মনোনয়ন বঞ্চিতরা। সব মিলিয়ে এই সমঝোতাকে কে ছাড় মানছেন না দলের প্রার্থীরা।
জাপার নেতাকর্মীরা বলেন, বিভিন্ন জায়গাতে নৌকার প্রার্থীদের তোলা হয়েছে, কিন্তু তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়ে গেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের বয়োজ্যেষ্ঠ নেতারাও রয়েছেন। তাহলে নৌকার প্রার্থী নির্বাচন থেকে তারা তুলে নিয়েছেন, সেটা কিন্তু ওঠানো হয়নি।
আরেকজন বলেন, স্বতন্ত্র এবং নৌকা মার্কা প্রার্থী তারা কিন্তু এক নৌকার মাঝি। অতত্রত নৌকার এখানে ছাড়ের কিছু দেখি না।
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশে প্রচার প্রচারণার ব্যস্ত সময় পার করছেন লাঙ্গল প্রতীকের নেতাকর্মীরা। ছবিটি ভিডিও থেকে নেয়া
তবে এরইমধ্যে প্রায় ১০টি আসনে সুবিধাজনক অবস্থানেও আছে লাঙ্গল।
যদিও ক্ষমতাসীনদের কাছ থেকে এমন বাড়তি সুবিধা নিয়ে এখনো দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলছেন, তাদের লক্ষ্য সরকার গঠনের।
নির্বাচনে প্রচার প্রচারণার শুরু পর সম্প্রতি সময় সংবাদকে চুন্নু আরও বলেন,
নির্বাচনের বিষয়ে কী বলবো, আগেও বলেছি নির্বাচনের কৌশল আছে; সেই কৌশলের কারণে ভেতরে ভেতরে-গোপনে গোপনে অনেক কিছু হয় সব দেশেই। সেই বিষয়টি বলবো না। শুধু এইটুকু বলবো, নির্বাচন চ্যালেঞ্জিং গেম। সেই চ্যালেঞ্জ করতে মাঠে আমাদের প্রার্থীরা আছেন। বলা কী যায়; জনগণের মধ্যে আওয়ামী লীগকে নিয়ে যে ক্ষোভ আছে; আওয়ামী লীগ নিয়ে যে ধারনা, সেখান থেকে জনগণ যদি আমাদের ভোট দিয়ে দেয়। এমন তো হতেই পারে। অসম্ভব কী।
এ সমঝোতার পরে জাপার বেশ কিছু প্রার্থী প্রত্যাহার করেছেন তাদের প্রার্থিতা। সব মিলিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রায় ২৭০ জন লড়ছেন ভোটের মাঠে।
আগামী ৭ জানুয়ারি হবে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। এখন চলছে প্রচার প্রচারণা। গত মাসের ১৫ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১:২৩:০৩ ৮৯ বার পঠিত #নির্বাচন ২০২৪