এবারের নির্বাচনে অতিরিক্ত নাশকতা, আতঙ্ক ও শঙ্কা তৈরির এক ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও মাঠ প্রশাসন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।
হাবিবুর রহমান বলেন, একটি বা দুইটি রাজনৈতিক দলের প্রোগ্রামকে সামনে রেখে এমন নাশকতার পরিবেশ হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে আমি বলতে পারি, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, বাংলাদেশ পুলিশ এই সমস্যাগুলো মোকাবিলা করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ গড়ে তোলার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।
রেলে নাশকতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত অক্টোবর মাসের ২৮ তারিখের পর থেকে এখন পর্যন্ত জ্বালাও পোড়াও ইত্যাদি নানা ধরনের নাশকতা চালানো হচ্ছে। বেশিরভাগই কিন্তু পুলিশ উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। দোষীদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে। বাকি যারা আছে তারা আশা করি আইনের আওতায় আসবে। এগুলো যেন ভবিষ্যতে ঘটতে না পারে সেজন্য বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও রয়েছে। রেলে যেন আর নাশকতা না হতে পারে এজন্য আনসারকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সকালে ব্যালট পেপার কেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে কোনো আপত্তি আছে কি না— জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, যারা নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করছে তারা সবাই এটি মেনে নিয়েছে। নির্বাচন সংশ্লিষ্ট জিনিস আগের দিন কেন্দ্রে পাঠানো হবে। কেবল ব্যালট পেপারটি সকালবেলা পৌঁছানো হবে। সেজন্য নির্বাচন কমিশন কিছু গ্রাউন্ড ড্রাফট করেছে। কিছু উপনির্বাচন হয়েছে সেখানে তারা এই পরীক্ষাগুলো চালিয়েছে। পাহাড়ি অঞ্চল হাওর অঞ্চল এই সমস্ত প্রতিকূল এলাকার বিষয়ে আলাদা ডিসিশন রয়েছে। সেই ভাবেই সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি এতে কোনো সমস্যা হবে না। সবার সম্মিলিত প্রয়াস থাকলে সামনে যে ভোট যুদ্ধ সেটি সফল হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২০:৩০ ৮৭ বার পঠিত