ফিলিস্তিনিদের শুধু মেরেই ক্ষান্ত হচ্ছে না ইসরাইল, হত্যার পর লাশের কিডনি, হার্ট, লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও চুরির করা হচ্ছে বলে দাবি করেছে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমধ্যম ডেইলি সাবাহ।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) তেল আবিবের পক্ষ থেকে ৮০ জন পরিচয়হীন ফিলিস্তিনির লাশ হস্তান্তর করা হলেও, তাদের বিভিন্ন অঙ্গ ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তাদের সবাইকে গণকবর দেয়া হয়।
গাজার মাটিতে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝরছে ১২ সপ্তাহ ধরে। এরইমধ্যে নিহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ২১ হাজার। কিন্তু তাতেও এতটুকু বদলায়নি দখলদার ইসরাইলি সেনাদের মনোভাব। একদিনে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে ১০০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে তারা। হামলা চালায় খান ইউনিস, বুরেইজ, জুহর আদ-দিক এবং নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে। এতে হতাহত হন বেশ কয়েকজন। হামলা অব্যাহত রয়েছে অধিকৃত পশ্চিম তীরেও।
মঙ্গলবার কেরেম শালোম বর্ডার ক্রসিং দিয়ে ৮০ জন পরিচয়বিহীন ফিলিস্তিনির লাশ হস্তানন্তর করে ইসরাইলি সেনারা। পরবর্তীতে তাদের গণকবরের জন্য নেয়া হলে কিডনি, চোখসহ মৃতদেহগুলোর নানা ধরনের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ চুরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তবে এ বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি তেল আবিব।
চলমান যুদ্ধে অবরুদ্ধ গাজার মধ্যাঞ্চলে প্রবেশ করেছে ইসরাইলি সেনারাড়- মঙ্গলবার এমনটাই দাবি করে একটি ভিডিও প্রকাশ করে তেল আবিব। এতে দেখা যায়, একের পর এক ট্যাংক এগিয়ে চলছে সামনের দিকে। পাশাপাশি, শুধু গাজা নয় লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন ও ইরান থেকেও ইসরাইলে হামলা হচ্ছে বলে দাবি ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর।
তবে এসব হামলার পাল্টা জবাব দেয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি। আর ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বলছেন, হামাসের সঙ্গে চলমান যুদ্ধ আরও দীর্ঘ হবে।
সংকটময় এ পরিস্থিতি সামাল দিতে আবারও যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন কাতারের আমির। মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে এক ফোনালাপে একথা বলেন তিনি। এমনকি অবরুদ্ধ উপত্যকাটির পরিস্থিতি উন্নতি করতেও জোর দেন কাতারের আমির।
বাংলাদেশ সময়: ২০:৫৫:৪২ ৯৬ বার পঠিত