জামালপুর প্রতিনিধি : জামালপুর-৪ সরিষাবাড়ী আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে স্বতন্ত্র প্রার্থী (ঈগল) প্রতীকের ৩৮ কর্মীর বিরুদ্ধে এজাহারনামীয় এবং ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন নৌকার সমর্থক মামুনুর রশিদ।
গতকাল শুক্রবার(২৯ ডিসেম্বর) নৌকার সমর্থক ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন বলে নিশ্চিত করেছেন সরিষাবাড়ী থানার ওসি মুশফিকুর রহমান। তবে এ মামলায় এখনো কোনো আসামি গ্রেফতার করা হয়নি বলে পুলিশ সূত্র জানায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত (২৫ ডিসেম্বর) নৌকা মনোনীত প্রার্থী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান হেলালের নির্বাচনী ক্যাম্প রাতে ভাংচুর করা নির্দেশ দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হাসানের (ঈগল) প্রতীকের প্রধান নির্বাচনী প্রতিনিধি সাখাওয়াত আলম মুকুল। এছাড়াও উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে নৌকার সমর্থকদের মারপিট করার তিনি হুকুম দিয়েছেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার বাদী, প্রভাষক মামুনুর রশীদ বলেন, গত (২৫ ডিসেম্বর) রাতে পৌরসভার সিমলাপল্লী তাড়িয়াপাড়া নৌকা নির্বাচনী ক্যাম্প এলাকায় নৌকার নির্বাচনী প্রচারণাকালে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগলের কিছু সমর্থক নেশাগ্রস্থ হয়ে নৌকার প্রচারণায় বাধা সৃষ্টি করে এবং কয়েকজন সমর্থককে মারধর করে আহত করে।
পরে এ বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করা হলেও ওসির অনুপস্থিতি থাকার কারণে মামলাটি রুজু করা হয়নি। গতকাল (২৯ ডিসেম্বর) রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হাসানের( ঈগল প্রতীকের) প্রধান নির্বাচনী প্রতিনিধি ও ঘটনার মুল দিকনির্দেশনাকারী সাখাওয়াত আলম মুকুলকে প্রধান আসামি করে মামলাটি রুজু করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমরা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশাবাদী। যারা আজ নৌকাকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করছে, তারা কিন্তু নৌকার বাইরে কেউ নন। তারা আওয়ামী লীগ হতেই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। সুতরাং নিজেদের মধ্যে তারা বিবাদ করতে চাইলেও আমরা করবো না। আমরা শেখ হাসিনা ও দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা চাই নির্বাচনটি উৎসবমুখর ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হোক। হাঙ্গামা ও বিবাদ করে নয়।
অপরদিকে এ মামলার প্রধান আসামি সাখাওয়াত আলম মুকুল বলেন, তাদের এ মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। গত (২৫ ডিসেম্বর) স্বতন্ত্র প্রার্থী মুরাদ হাসানের (ঈগল) প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা সৃষ্টি করে নৌকার সমর্থকরা।
এবিষয়ে প্রতিবাদ করলে নৌকার সমর্থকরা ঈগলের নির্বাচনী ক্যাম্পে অতর্কিত হামলা করে অফিস ভাঙচুর করে এবং ১২ জন কর্মীকে মারপিট করে আহত করে। পরে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করলে প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আজ তাদের এ মামলা স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. মুরাদ হাসানের (ঈগল) প্রতীকে নির্বাচনী প্রচারণাকে বিঘ্নিত করা এবং ৭ জানুয়ারি যাতে তিনি পরাজিত হন সেই ষড়যন্ত্র অন্তরায়কে কেন্দ্র করে করা হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। এছাড়াও তিনি এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:২২:১১ ২১৩ বার পঠিত