জাপানের রাজধানী টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে অবতরণ করার সময় ৩০০ জন যাত্রীকে বহনকারী একটি বিমানে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটি অবতরণের সময় এতে আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে বলেছে, হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণের পর রানওয়েতে থাকা জাপানের উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বিমানের সাথে জাপান এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী ওই বিমানটির সংঘর্ষ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনএইচকের প্রচারিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, রানওয়েতে দাঁড়িয়ে থাকা বিমানের সাথে সংঘর্ষের পরপরই জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। এ সময় বিমানের জানালা দিয়ে আগুনের লেলিহান শিখা ও ধোঁয়ার কুণ্ডলী বেরিয়ে আসতে দেখা যায়।
বিমানবন্দরের আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গেছে। এই ঘটনায় বিমানের পাশাপাশি হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতেও আগুন ধরে যায়। জাপান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে তিন শতাধিক যাত্রী ছিলেন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এনএইচকে বলেছে, আগুন ধরে যাওয়া জাপান এয়ারলাইন্সের জেএএল-৫১৬ ফ্লাইটটি হোক্কাইডো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেছিল। পরে সেটি হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে।
জাপানের আরেক টেলিভিশন চ্যানেল নিপ্পন টিভি বলছে, মঙ্গলবার টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরে উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বিমানের সাথে সম্ভাব্য সংঘর্ষের পর জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে আগুন ধরে গেছে। অগ্নিকাণ্ডের সময় যাত্রীরা বিমানে ছিলেন।
জাপান এয়ারলাইন্সের একজন মুখপাত্র ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, হোক্কাইডোর শিন চিটোসে বিমানবন্দর থেকে স্থানীয় সময় বিকেল ৪টায় ৩০০ জনের বেশি যাত্রীকে নিয়ে যাত্রা করেছিল জেএএল-৫১৬। হানেদা বিমানবন্দরে বিমানটির অবতরণের সময় নির্ধারিত ছিল ৫টা ৪০ মিনিট।
এদিকে, জাপান এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি বলছে, হানেদা বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের শিকার জাপান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানে ৩৭৯ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। তাদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে দেশটির এই বিমানসংস্থা বলেছে, ‘‘আমরা বর্তমানে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন করছি।’’
সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, এনএইচকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৪৩:৪৭ ৯৪ বার পঠিত