তাপমাত্রার পারদ ওঠানামা করায় উত্তরের জনপদে হাড় কাঁপানো শীত অনুভূত হচ্ছে। গত দু-তিনদিন ধরে পঞ্চগড়ে হিমশীতল কুয়াশা ঝরছে বৃষ্টির মতো। এতে জনজীবনে কিছুটা স্থবিরতা দেখা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) জেলার তেঁতুলিয়ায় সকাল ৯টায় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। তবে সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে সারা দেশের তাপমাত্রা নির্ণয় শেষে দেশের সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে নওগাঁর বদলগাছিতে।
আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র জানায়, পঞ্চগড়জুড়ে আরও ২-৩ দিন ঘন কুয়াশা থাকবে। সঙ্গে তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করবে।
আবহাওয়ার এমন বিরূপ আচরণে ঠান্ডার পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে, আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দেয়া তথ্যানুযায়ী, গত বুধবার জেলার তাপমাত্রা (১০ জানুয়ারি) ১২ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি, সোমবার (৮ জানুয়ারি) ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি, রোববার (৭ জানুয়ারি) ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি, শনিবার (৬ জানুয়ারি) ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি, শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি, বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি, বুধবার (৩ জানুয়ারি) ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ১০ দশমিক ৭ ডিগ্রি ও সোমবার (১ জানুয়ারি) ১১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সন্ধ্যা থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে জেলার পরিবেশ। কুয়াশার কারণে শহর ও গ্রামের সড়কগুলোতে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে দেখা গেছে। ঘন কুয়াশার সঙ্গে ঝরে হিমশীতল শিশির। শীতের কারণে বিপাকে পড়েছেন নিম্নআয়ের পেশাজীবীরা।
তবে বেলা বাড়লেও দুদিন ধরে দেখা মিলছে না সূর্যের। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে কুয়াশার পরিমাণ কিছুটা কম লক্ষ্য করা গেছে।
এদিকে, শীতের কারণে নিউমোনিয়া, অ্যাজমা, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট ও ডায়রিয়াসহ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু থেকে বয়স্ক মানুষরা। জেলা ও উপজেলার হাসপাতালগুলোর আউটডোরে ঠান্ডাজনিত রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসার পাশাপাশি শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক রোকনুজ্জামান রোকন সময় সংবাদকে জানান, দুদিন থেকেই সূর্য ঢাকা রয়েছে। হিমেল বাতাস বইছে। বিশেষ করে শীত বেশি লাগার কারণ হচ্ছে বায়ুর গতিবেগ। উত্তর-পূর্ব বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে যে বায়ু প্রবাহিত হয়, সেটি শীতকালের। বাতাসের গতিবেগ বেশি হলে শীতের তীব্রতা আরও বৃদ্ধি পায়। সে অনুপাতে এ অঞ্চলে এখন শীতের তীব্রতা বেশি হচ্ছে। তবে ঠান্ডার সঙ্গে আগামী দু-তিনদিন কুয়াশার পরিমাণ বেশি থাকবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৭:৪৬ ১৪১ বার পঠিত