সরিষাবাড়ী প্রতিনিধি : জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে সুরুজ মিয়া নামে এক কৃষকের সাত বিঘা ফসলি জমি ভূমিদস্যুদের দখল নেয়ার অপচেষ্টা। জানা গেছে ,জমিতে বীজ বপণ থেকে শুরু করে সার দেওয়া, আগাছা নিড়ানি, ফসল কাটাসহ প্রতি ক্ষেত্রে ভূমিদস্যুরা তান্ডব চালিয়ে আসছে। এতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন ওই কৃষক পরিবার। এঘটনা বৃহস্পতিবার(১৮ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার আওনা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামে ঘটেছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী কৃষক পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চন্দনপুর গ্রামে পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৭বিঘা জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে আসছে কৃষক সুরুজ মিয়া। কয়েক মাস আগে ওই জমিতে ভূট্টা লাগান তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুরে তার দুই ছেলে ও দুই ভাতিজা মিলে ওই জমিতে সার দিতে যান। তারা সার ছিটানোর সময় হঠাৎ লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে স্থানীয় চিহ্নিত ভূমিদস্যু বাবলু ও রশিদের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন লোক তাদের দিকে তেড়ে আসে। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে নজরুল ইসলাম, আবু সাঈদ, মিজানুর ও সাইফুল ইসলাম জীবন বাঁচাতে সার ছিটানোর কাজ ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যান।
এর আগে গত বছরের ১ নভেম্বর একই জমিতে ভুট্টার বীজ বপণ করতে গিয়ে ওই দস্যু বাহিনীর হামলার শিকার হন ১৫ জন। এ ঘটনায় ভূমিদস্যু আব্দুর রশিদকে প্রধান করে ১৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন কৃষক সুরুজ মিয়া।
ওই মামলায় পুলিশ কোন আসামীকে আজও গ্রেপ্তার করতে পারেনি। পরে আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে এলাকায় এসে ফের তান্ডব শুরু করে।
এ বিষয়ে সুরুজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে তার ছেলে ও ভাতিজারা মিলে চন্দনপুর গ্রামে ভূট্টা ক্ষেতে সার দিতে যায়। সেখানে ওই এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু আব্দুর রশিদ ও বাবলুর নেতৃত্বে ২৫/৩০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মারার জন্য তেড়ে আসে। পরে ভয়ে তারা ঘটনাস্থল হতে পালিয়ে জীবন বাঁচায়।
এদিকে অভিযুক্তদের মধ্যে আব্দুর রশিদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে মামলার হাজিরা দিতে তিনিসহ ১৭ জন সিরাজগঞ্জে গিয়েছেন। কে বা কারা তাদেরকে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাড়া করেছে বিষয়টি আমার জানা নেই, বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুশফিকুর রহমান বলেন, এর আগে একই জমি নিয়ে মারামারির ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবারের ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৬:৩০ ১১৪ বার পঠিত