প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেছেন, শিগগিরই ডলারের সমস্যার সমাধান হবে। এই মুহূর্তে দুটো জিনিস চাপ কমাতে সহযোগিতা করতে পারে, একটি হলো— রেমিটেন্স বাড়াতে হবে এবং আরেকটি হচ্ছে রপ্তানি বাড়াতে হবে।
আজ (সোমবার) দুপুরে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সালমান এফ রহমান বলেন, রপ্তানি বাড়ানোর জন্য অনেকগুলো নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। রপ্তানিকে বহুমুখীকরণ করা হচ্ছে। সম্প্রতি আমদানি অনেকটা কমে গেছে। তারপরও ডলারের চাপ থাকছে। তাই রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে এখন আমাদের দুটি জিনিস করতেই হবে। একটি হচ্ছে রেমিট্যান্স বাড়াতে হবে এবং আরেকটি হচ্ছে রপ্তানি বাড়াতে হবে। এটাই হলো মূল কাজ। এটা আমাদের করতেই হবে। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন রপ্তানি বাড়ানোর জন্য। সেজন্য অনেকগুলো নতুন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এখানে রপ্তানি বহুমুখী করার জন্য কাজগুলো করা হচ্ছে।
নবাবগঞ্জ জেলায় বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরির ব্যাপারে আপনাদের অনেক দিনের প্রচেষ্টা ছিল, সেটি বর্তমানে কী অবস্থায় রয়েছে– জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটার অনেক দূর অগ্রগতি হয়েছে। এখন জমি অধিগ্রহণ হবে, সেটা নিয়ে কাজ শুরু হবে। এই প্রজেক্টটা যেভাবে অনুমোদন হয়েছে সেভাবেই কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এখানে কিছু খাস (সরকারি) জমি আছে। আর বেশিরভাগই অধিগ্রহণ করতে হবে। সেটি প্রকল্পের মধ্যে উল্লেখ রয়েছে।
মৈনট ঘাটকে পর্যটন অঞ্চল করার অগ্রগতি কতদূর– জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, সেখানে ২১৫ একর জমি ইতোমধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) দেওয়া হয়েছে। আগে সেখানে নদী ভাঙনের একটি ভয় ছিল। আপনারা জানেন, নদী ভাঙন রক্ষার জন্য এখন বিরাট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখন সে জায়গায় সেনাবাহিনী কাজ করছে। আমরা ওই ২১৫ একর জমির ওপর একটি হোটেল-রিসোর্ট করব।
আজকের মতবিনিময় সভায় কী আলোচনা হয়েছে– এমন প্রশ্নের জবাবে সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা একটা নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। সেটি হচ্ছে, আগামী তিন বছর দোহার-নবাবগঞ্জে কি ধরনের উন্নয়ন হবে সেটির কর্মপরিকল্পনা ও রোড ম্যাপ তৈরি করার। সকাল থেকেই এখানকার জেলা-উপজেলার সব সরকারি কর্মকর্তা ও অংশীজনদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় সভা করছি। এতে স্থানীয় নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরাও অংশ নিয়েছেন। দোহার-নবাবগঞ্জের উন্নয়নের জন্য এ পরিকল্পনাকে আমরা তিনটি ভাগে ভাগ করে নিয়েছি। প্রথম এক বছরে কি হবে, তারপর দুই বছরে কি হবে এবং ফাইনালি তিন বছরে গিয়ে কি হবে সেটি নিয়েই আজ আলোচনা করা হয়েছে। অবশ্য এটি আমাদের প্রথম মিটিং ছিল। যার জন্য আমরা তেমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আজ আমরা শুধু মতবিনিময় করেছি। এই মতবিনিময় সভায় যে ফিডব্যাক পেয়েছি সে ফিডব্যাকের ভিত্তিতে আমরা একটা চূড়ান্ত পরিকল্পনা প্রস্তুত করব।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার প্রশাসক আনিসুর রহমান ও ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৯:১৯ ৮৭ বার পঠিত