তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র সার্বক্ষণিক চলছে। এ বিষয়ে সবাইকে সজাগ থাকার পাশাপাশি এর বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
৩১ জানুয়ারি মিরপুর হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর মিরপুরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রেতাত্মারা এখনো দেশের আনাচে-কানাচে অনেক জায়গায় আছে। তারা ঘাপটি মেরে থাকে, লুকিয়ে থাকে। সুযোগ পেলেই মাথাচাড়া দেয়। আবারও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্তরাত্বায় তারা আঘাত করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। মুক্তিযোদ্ধাদের হাত ধরে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযোদ্ধারা ঝাঁপিয়ে না পড়লে এ দেশকে আমরা হানাদার মুক্ত করতে পারতাম না। বাংলাদেশ স্বাধীন না হলে এখনো আমাদের দাসত্ব করতে হতো এবং আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াতাম সেটা আমরা কল্পনাও করতে পারিনা।
‘এদেশের নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলতে হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাঁথা নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে’- উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাদের বোঝাতে হবে অনেক কষ্ট, অনেক ত্যাগ, অনেক কিছুর পর আমরা এ দেশ পেয়েছি।
তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ হত্যা করা হয়। তারপর যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করা হয়েছিল তার বিপরীত দিকে দেশকে পরিচালনা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মধ্য দিয়ে আবার দেশের দখল নিয়েছিল মুক্তিযুদ্ধবিরোধী অপশক্তি। এ ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সার্বক্ষণিক সজাগ থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, এ যুগেও আমাদের একেক জনকে মুক্তিযোদ্ধার ন্যায় তৈরি হতে হবে। যে কোন পরিস্থিতিতে, যে কোন বাস্তবতায় দেশের শত্রুর বিপক্ষে যাতে শক্তভাবে আমরা দাঁড়াতে পারি, দেশের স্বাধীনতার পক্ষে, অগ্রগতির পক্ষে শক্তভাবে যাতে আমরা দাঁড়াতে পারি সে প্রত্যয় ও প্রতিজ্ঞা আমাদের মধ্যে থাকতে হবে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার শক্তিশালী নেতৃত্ব না থাকলে অনেকের ষড়যন্ত্র-চক্রান্তে এ দেশের শান্তি বিনষ্ট হতো বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর কারণেই আমরা সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত মোকাবিলা করে দেশের শান্তি বজায় রাখতে পেরেছি।
মিরপুর শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আগা খান মিন্টুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এছাড়া বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৫:১৬ ১০২ বার পঠিত