সেনা সদস্যদের সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর চলমান সংঘর্ষে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরও ৬৩ সদস্য পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে টেকনাফের উলুবুনিয়া সীমান্ত দিয়ে তারা বাংলাদেশে ঢুকে পড়ে। পরে তাদের হেফাজতে নিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এ নিয়ে মোট ৩২৭ জন বিজিবির হেফাজতে রয়েছেন।
এর আগে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা পর্যন্ত পালিয়ে আসে ২৬৪ জন। তাদের মধ্যে বিজিপি, সেনাবাহিনীর সদস্য, কাস্টমস কর্মী ও আহত সাধারণ নাগরিক ছিলেন।
বিজিবি সদর দফতরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম জানান, ২৬৪ জনের মধ্যে বিজিপি, সেনা সদস্য, পুলিশসহ অন্যান্যরাও রয়েছেন।
বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে, বিজিবির হেফাজতে থাকা ৩২৭ জনের মধ্যে ২৮৫ জন সীমান্তরক্ষী, সেনা সদস্য ২ জন, সিআইডি ৪ জন, লোকাল পুলিশ ৫ জন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের ৯ জন, ইমিগ্রেশন বিভাগের ২০, অসামরিক ২ জন রয়েছে।
এদিকে বুধবার ঘুমধুম সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী।
বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, সীমান্ত পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিজিবির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে ধৈর্য ধারণ করে, মানবিক থেকে এবং আন্তর্জাতিক সুসম্পর্ক বজায় রেখে পরিস্থিতি মোকাবিলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, অবৈধভাবে আর একজনকেও বাংলাদেশে ঢুকতে দেয়া হবে না।
বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়াদের বিষয়ে বিজিবি প্রধান বলেন, তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছে। যারা আশ্রয় নিয়েছেন তাদের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারাও দ্রুত ফেরত যেতে আগ্রহী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:২১:১৪ ৬৮ বার পঠিত