ধর্মমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, তাবলীগ জামাতের চিন্তা-চেতনা, উদ্দেশ্য এবং লক্ষ্য একটাই-আল্লাহকে খুশি এবং রাজি করা। সেক্ষেত্রে এখানে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা করার মতো অসৎ চিন্তা কোন অবস্থাতেই তাবলীগ জামাতের যারা দায়িত্বশীল আছে তারাও করেন না এবং যারা আসেন তারাও করেন না। এটাই বাস্তবতা।
আজ সকালে গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান পরিদর্শনকালে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে কোন দুর্ঘটনা বা বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা করছেন কিনা এ প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ধর্মমন্ত্রী বলেন, প্রথম পর্ব শেষ হওয়ার পরে তেমন বড় ধরনের কোন সমস্যা এখানে হয়নি। আমি মনে করি, দুপক্ষের মধ্যে বোঝাপড়াটা অত্যন্ত মজবুত ও দৃঢ় হওয়ার কারণেই কোন ধরনের ত্রুটি-বিচ্যুতি ঘটেনি।
মাওলানা সাদ কান্ধলভীকে আনার বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়েছে কীনা সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান বলেন, আমার দায়িত্ব আমি পালন করব। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব। আল্লাহ পাক যেন কবুল করেন। উভয়পক্ষকে যেন আমরা একখানে করতে পারি। তিনি আরো বলেন, হযরত মাওলানা সাদ সাহেবকে আনার জন্য তাবলীগ জামাতের যারা তার পক্ষে কাজ করছেন তারা চেষ্টা করছেন। আমাদের সাথে কথা চলছে। আমরাও আলোচনা করছি। সমঝোতার মধ্যে হয়তো এটা সম্ভব হতে পারে। আমরা সেই চিন্তাটাই করছি। তবে এক্ষেত্রে কিছু বাধ্যবাধকতা আছে, নিয়ম আছে। সেই নিয়মের মধ্যে সবকিছু করতে হবে। কোনরকম অসৎ কাজ বা কোন দুর্ঘটনা যাতে সৃষ্টি না হয় সেদিকে খেয়াল রেখেই সবকিছু করতে হবে। গত পরশু (মঙ্গলবার) হযরত মাওলানা আশরাফ মাদানী এসেছিলেন। আমি সেখানে ছিলাম। উনার বক্তব্য রেকর্ড করেছি, তার বক্তব্য আমরা বাংলায় রূপান্তর করছি। চার সদস্যের একটি টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিম চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আমাদেরকে জানাবে। উনাদের মিটিংটা হয়ে গেলে তারপর আমরা উভয়পক্ষের সাথে যোগাযোগ করব। আমরা একত্রে বসব, চেষ্টা করব। আল্লাহ পাকের যদি হুকুম হয় তাহলে তাদের উভয়পক্ষ মেনে নিতে পারে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পরে ধর্মমন্ত্রী বিশ্ব ইজতেমার বেশ কয়েকটি খিত্তা ঘুরে দেখেন এবং আগত আলেম-ওলামাদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মামুনুল করীম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৭:৩৩:৪১ ১২২ বার পঠিত