মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ভ্রাতৃপ্রতিম ইরান এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ও গভীর। দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক যোগাযোগ অতীতের মতো বর্তমানেও বজায় রয়েছে। ইরান-বাংলাদেশ মৈত্রী ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক শক্তিশালী ভিত রচিত হয়েছে।
মন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী অডিটরিয়ামে ইরানের ইসলামী বিপ্লবের ৪৫তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকাস্হ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ঢাকাস্হ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সিলর সাইয়্যেদ রেজা মির মোহাম্মাদীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে ইরানের আল-মোস্তফা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভিসি আলী আব্বাস, বাংলাদেশে অবস্থিত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভূশি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. জিয়া রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্সি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের শিক্ষক ড. কে এম সাইফুল ইসলাম খান. বাংলাদেশ ইসলামী ফাউন্ডেশনের বোর্ড গভর্নরের সদস্য মাওলানা ড. মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন সরকার সালেহী বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, ইরান এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর মধ্যে রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, বিজ্ঞান ও গবেষণায় অগ্ৰগামী একটি দেশ। তিনি বলেন, ইরানের ইসলামী বিপ্লব ও বিপ্লবী ইরানি জাতি অর্থনৈতিক খাতসহ কোনো কোনো খাত বাইরের শক্রুর নজিরবিহীন বাধা আর নিষেধাজ্ঞার কারণে বেশ অসুবিধা ও হয়রানির শিকার হলেও এসব কিছুই ইরানের অগ্ৰযাত্রাকে থামাতে পারেনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ইরানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। আমাদের দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে ইরানের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অনেক মিল রয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরসহ আমাদের দেশের অনেক কবি ও সাহিত্যিক তাদের কবিতা ও সাহিত্যে ফার্সি শব্দ ব্যবহার করেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৪৭:১৯ ১৫৪ বার পঠিত