বলিউড তারকা হেমা-ধর্মেন্দ্রকন্যা এষা দেওল ও তার ব্যবসায়ী স্বামী ভরত তখতানির বিচ্ছেদের পর তাদের অন্দরের নানা অজানা কথা সামনে আসছে। বিয়ের এক যুগ পার করে ফেলেছেন তারা। তাদের হঠাৎ বিচ্ছেদ যেন মেনে নিতে পারছেন না ভক্তরা।
এষা দেওল ও ভরত তখতানির বিয়ে হয় ২০১২ সালে। দুটি সন্তান রয়েছে তাদের। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল তবে কেন হঠাৎ এই ছন্দপতন? ভরতের বাড়ির সংস্কৃতি মেনেও নিয়েছিলেন এষা। বিচ্ছেদের পর ভরতের একটি সাক্ষাৎকার ভাইরাল হয়েছে।
ফিল্মফেয়ারকে দেয়া ভরত তখতানির পুরানো একটি সাক্ষাৎকার সামনে এসেছে। ভরত বলেন, এষা অনেক বেশি ‘পজেসিভ’। আমিও পজেসিভ তবে ওর মতো অতটাও নয়। ও আমাকে অষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধে রাখে।’ অর্থাৎ ভরতের কথায়, এষার তার উপর অধিকার বোধ একটু বেশিই ছিল।
ভরত আরও বলেন, ‘তাদের মাঝে মধ্যে মতবিরোধ হয়। এষার অভ্যাস তর্ক করতে থাকা। তবে ঝগড়ার পর এষাই আবার সবকিছু ঠিক করে নেয়। তাদের সম্পর্কে একটা সূক্ষ্ম বোঝাপড়া রয়েছে। ঝগড়ার পর তারা নিজেরাই তা মিটিয়ে নেন।
এখন প্রশ্ন উঠছে, তবে কি ভরতের প্রতি এষার অতিরিক্ত অধিকার বোধই তাদের বিচ্ছেদের কারণ হয়ে উঠেছে। এদিকে আবার শোনা যাচ্ছে, এষা-ভরতের বিবাহ-বিচ্ছেদের কারণ নাকি ভরত তখতানির নতুন প্রেমে পড়া। জানা যাচ্ছে, বেঙ্গালুরুতে ভরতের নতুন কাউকে খুঁজে পেয়েছেন।
বিচ্ছেদের কথা জানিয়ে এষা ও ভরত যৌথ বিবৃতি দেন, ‘আমরা পারস্পরিক এবং সৌহার্দ্যপূর্ণভাবেই এই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের জীবনের এই পর্যায়ে এসেও আমাদের দুই সন্তান যাতে ভালো থাকে, সেটাই এখন আমাদের কাছে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। আশা রাখি আমাদের এই গোপনীয়তাকে সম্মান জানানো হবে।’ তবে এরপরেও তাদের বিচ্ছেদের প্রকৃত কারণ কী, তা জানতে কৌতুহলী হয়ে পড়েছেন অনুরাগীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৯:১২ ৬৪ বার পঠিত