নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, হেনা দাস আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধার একজন মানুষ। ১৯৮৫ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন যেতে তিনি আমাকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করেছেন। তাঁর অবদান আমি কখনো ভুলতে পারবো না। হেনা দাসের মতো মহিয়সীদের আমি সব সময় অনুসরণ করার চেষ্টা করি। তিনি নারায়ণগঞ্জের গর্ব।
হেনা দাসের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোট ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার যৌথ ভাবে জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ভবানী শংকর রায়ের সঞ্চালনায় আলী আহাম্মদ চুনকা নগর মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহিলা পরিষদ, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি লক্ষ্মী চক্রবর্তী। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাষ্টি, লেখক ও গবেষক মফিদুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, হেনা দাসের কন্যা ডা. দীপা ইসলাম, দৌহিত্রি প্রকৌশলী নবনীতা ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এড. জিয়াউল ইসলাম কাজল, মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি রীনা আহমেদ ও শিক্ষক সমিতির জেলা প্রতিনিধি এড. হাসিনা পারভিন।
মফিদুল হক বলেন, হেনা দাস ছিলেন আজন্ম সংগ্রামী এক যোদ্ধা। তিনি যেমনি শিক্ষা ও সংস্কৃতির জন্য লড়াই করেছেন, পাশাপাশি নারী মুক্তি, চা-শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে আন্দোলন, কৃষকের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করেছেন। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন সহ আমাদের ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বের সংগ্রামের সক্রিয় যোদ্ধা তিনি। নারায়ণগঞ্জের সাথে রয়েছে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক। এখানকার বিভিন্ন কর্মে ছড়িয়ে আছে তার স্বাক্ষর।
রফিউর রাব্বি বলেন, হেনা দাস ছিলেন আমাদের একটি প্রজন্মের বাতিঘর। বিনয় এবং দৃঢ়তার এক অপূর্ব সমন্বয় ছিল তাঁর চরিত্রে। তাঁর লেখা ‘চার পুরুষের কাহিনী’তে যেমনি প্রতিফলিত হয়েছে একটি সময়ের উত্থান পর্ব, আবার অন্য সব গ্রন্থে উঠে এসেছে একটি মুক্তমানবের মুক্তসমাজ হঠনের সংগ্রামের উপাখ্যান।
নবনীতা ইসলাম আয়োজনের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে হেনা দাস স্মরণে সংগীত পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক জোটের শিল্পীরা। পরে হেনা দাসকে নিয়ে মানজারে হাসিন মুরাদ নির্মিত প্রামাণ্য চিত্র “অভিযাত্রী” প্রদর্শিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২২:৫৯:১৩ ১০০ বার পঠিত