ফরিদপুরে মধুমতি নদী তীর সংরক্ষণ-ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধন

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » ফরিদপুরে মধুমতি নদী তীর সংরক্ষণ-ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধন
বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৪



ফরিদপুরে মধুমতি নদী তীর সংরক্ষণ-ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধন

ফরিদপুরের মধুমতি নদী তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার সাড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকায় নদীটির সংরক্ষণ ও ড্রেজিং করা হবে। প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৮১ কোটি টাকা।

মৎস‌্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ফরিদপুর সূত্র জানায়, জেলার মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলার খরস্রোতা মধুমতী নদীর তীর সংরক্ষণমূলক কাজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে নদী ভাঙন রোধ এবং বন্যার কবল থেকে স্থানীয় জনগণকে রক্ষা করাই এ প্রকল্পের উদ্দেশ্য। ড্রেজিং করে নদীর প্রবাহ ও নাব্যতা স্বাভাবিক রাখা হবে। আর নদী তীর সংরক্ষণের মাধ্যমে এ দু’টি উপজেলার প্রবল নদীভাঙন কবলিতস্থানে বিদ্যমান সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফস্মৃতি যাদুঘর, সংযোগ সড়ক, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরবাড়ি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাট-বাজার, কমিউনিটি ক্লিনিক, ধর্মীয় উপাসনালয়, ফসলি জমি ও বাসযোগ্য জমি, বসবাসের বাড়িঘরসহ বিভিন্ন স্থাপনা ইত্যাদি নদীভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।

এতে আনুমানিক ২ হাজার ৭৭২ কোটি ২৫ লাখ টাকার সম্পত্তি রক্ষা করা সম্ভব হবে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মুন্সী আব্দুর রউফ স্মৃতি জাদুঘরের সংযোগ সড়ক সহ তৎসংলগ্ন এলাকা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে। চলতি অর্থবছর থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্প সম্পন্নের শেষ সময় ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত।

সূত্র জানান, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফের বসতভিটায় যাতায়াতের রাস্তাসহ রাস্তাসহ নওয়াপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ নওয়াগাড়া এলাকাসহ ৩ হাজার ১৫০ মিটার এলাকা মধুমতী নদীর প্রবল ভাঙন কব‌লিত হয়েছে।

এছাড়া আলফাডাঙ্গা উপজেলার বাঁশতলা, পশ্চিম চর নারায়ণদিয়া, দক্ষিণ চর নারায়ণদিয়া, দিগনগর, পবনবেগ বাজার এবং গোপালপুর ও টগরবন্দ ইউনিয়নের মিলনস্থলে বাজড়া ও চরআজমপুর এলাকা সহ ৪ হাজার ৩৫০ মিটার নদীতীর এলাকাও মধুমতী নদীর ভাঙন কবলিত।

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পার্থ প্রতিম সাহা জানান, এ প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৭ কিলোমিটার নদী তীর এলাকা সংরক্ষণ ও ৩ হাজার ১০০ মিটার এলাকা ড্রেজিং করা হবে। এর ফলে নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি পেয়ে নদী ভাঙন রোধ হবে এবং নৌ-চলাচলে সহায়ক হবে ও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। দারিদ্র্য বিমোচন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের ওপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। নদীর তীরবর্তী জনগুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো রক্ষা পাবে।

পার্থ প্রতিম সাহা বলেন, প্রকল্প এলাকাটি ‘বাংলাদেশ ডেল্টা প্লান ২১০০’ এ উল্লেখিত ৬টি হটস্পটের মধ্যে ‘নদী অঞ্চল এবং মোহনা”এলাকায় অবস্থিত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬:২১:১৬   ৮১ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


অংশীজনদের নিয়ে আগামী বছর জাতিসংঘের কনফারেন্স
রাজধানীতে তিন দিনব্যাপি মুদ্রা প্রদর্শনী শুরু
এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া
সরকারি স্কুলগুলোতে এখনো অনেক সমস্যা রয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
বাংলাদেশকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন সার দিচ্ছে রাশিয়া
১৩৬৬ কোটি টাকায় সিঙ্গাপুর থেকে দুই কার্গো এলএনজি কিনবে সরকার
পণ্য সরবরাহে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে দেয়া হবেনা: বাণিজ্য উপদেষ্টা
জনগন যাতে সকল ক্ষমতার মালিক হতে পারেন তেমন দেশ গড়তে চাই:প্রধান উপদেষ্টা
ভুটানের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বিএনপির ঘণ্টব্যাপী বৈঠকে সার্ক কার্যকরে আলোচনা
গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ফের ভেটো যুক্তরাষ্ট্রের

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ