ভারতের শীর্ষ ধনকুবের আম্বানি পরিবারের বিয়ে মানেই এলাহি কাণ্ড। ছোট-বড় সব ধরনের উৎসবে আয়োজনের কোনো কমতি থাকে না তাদের। আর মুকেশ আম্বানির ছোট ছেলে অনন্ত আম্বানির বিয়ে বলে কথা। তাই অনন্ত-রাধিকার বিয়েতে কোনো কমতি রাখতে চান না মুকেশ-নীতা আম্বানি।
রাধিকা ও অনন্তের ভালোবাসার অন্যতম সিক্রেটই হলো বন্ধুত্ব। সেটাই তাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি। ঠিক কেমন ছিল তাদের বন্ধুত্বের প্রথম দিনগুলো? আর কীভাবেই বা তা গড়াল প্রেমে— চলুন জেনে নিই।
গত বছর জানুয়ারিতে রাধিকা মার্চেন্টের সঙ্গে বাগদান হওয়ার পরেই শিরোনামে আসেন অনন্ত। মুম্বাইয়ে তাদের বাড়িতেই এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বাগদানের অনুষ্ঠান হওয়ার পরেই অনন্ত ও রাধিকার সম্পর্কে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়। আর তাদের সম্পর্ক নিয়ে মানুষের মধ্যে আগ্রহ আরও বাড়ে।
জনপ্রিয় হেলথ কেয়ার ব্র্যান্ডের সিইও বীরেন মার্চেন্টের মেয়ে রাধিকা। ছোট থেকেই পড়াশোনা করতে ভালোবাসেন। সেই সঙ্গে সাঁতার কাটা ও ট্রেকিংও তার বেশ প্রিয়। শোনা যায়, রাধিকা ও অনন্ত পারিবারিক সূত্রে ছোট থেকেই একে অপরকে চিনতেন। শৈশবে তারা অনেকটা সময় একসঙ্গে কাটিয়েছেন। বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হয়েছে। এক সময়ে তা ভালোবাসায় রূপ নিয়েছে।
যারা কৈশোরের প্রেম নিয়ে নানারকম স্বপ্ন দেখেন, তাদের চোখে রাধিকা ও অনন্তের সম্পর্কটি যে বেশ সুন্দর, সে কথা তো আর বলে দেওয়ার অপেক্ষাই রাখে না। শোনা যায়, যখন অনন্ত আম্বানি বিশেষ কিছু শারীরিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছিলেন, তখন তার হাত শক্ত করে ধরেছিলেন রাধিকা, এক প্রকৃত বন্ধুর মতোই।
২০১৮ সালে অনন্ত-রাধিকার একটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ছবিতে দুজনেই অলিভ গ্রিন রঙের শার্ট পরেছিলেন। তখনই সবার মধ্যে তাদের নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। যদিও সেই সময়ে এই সম্পর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি অনন্ত ও রাধিকা। পরে রাধিকা ও অনন্তকে একাধিক পারিবারিক অনুষ্ঠানে পাশাপাশি দেখা যায়। এমনকি আম্বানি পরিবারের নানা অনুষ্ঠানেও রাধিকা ও অনন্তকে পাশাপাশি ছবি তুলতে দেখেন সবাই।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে অনন্ত আম্বানি ও রাধিকার প্রাক বিবাহ অনুষ্ঠান শুরু হয়ে গিয়েছে। স্বপ্নের মতো সাজানো বিবাহ অনুষ্ঠানে ইতোমধ্যেই যোগ দিয়েছেন দেশ ও বিদেশের একাধিক তারকা। বিবাহ অনুষ্ঠানের এক ঝলক দেখার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাদের অনুরাগীরা। এদিকে জামনগরে যে অনন্ত ও রাধিকার ভালোবাসার এক বিশেষ উদযাপন শুরু হয়েছে, সে কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
বাংলাদেশ সময়: ১০:৫৮:৫০ ৭৫ বার পঠিত