বাংলাদেশের পোশাক রফতানির সিংহভাগই কটন থেকে আসলেও নিকট ভবিষ্যতে নন কটন খাত বাংলাদেশের পোশাক রফতানির সবচেয়ে সম্ভাবনাময় খাত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান।
রোববার (৩ মার্চ) রাজধানীর বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ‘লঞ্চিং রিপোর্ট অন বেইওন্ড কটন: এ স্ট্রাটেজিক ব্লু প্রিন্ট ফর ফাইবার ডাইভারসিফিকেশন ইন বাংলাদেশ অ্যাপারেল ইন্ডাস্ট্রি’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।
তিনি বলেন, আমাদের পোশাক শিল্প মূলত তুলা নির্ভর। তবে বিশ্বের ফ্যাশন বাজার এখন নন কটনের দিকে সরে যাচ্ছে। ভোক্তা পর্যায়ে বৈশ্বিক পোশাক ব্যবহারের ৭৫ শতাংশ নন কটন ও বৈশ্বিক টেক্সটাইল বাণিজ্যের ৫৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নন কটন।
এ খাতে বাংলাদেশের আরও বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, আমাদের পোশাক রফতানির মাত্র ২৯ শতাংশ নন কটন। তবে আশার কথা হচ্ছে, নন কটন খাতে বিনিয়োগ ও বাজার সম্প্রসারণের সুযোগ সবচেয়ে বেশি।
ফারুক হাসান বলেন, গত ৩ বছরে দেশের নন কটন রফতানি ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৯ শতাংশে পৌঁছেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় পোশাক শিল্পে নন কটন খাতে উল্লেখ্যযোগ্য বিনিয়োগ এসেছে। আমাদের নন কটন ফাইবার ও টেক্সটাইল খাতে কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। অর্থাৎ এই খাতে পোশাক রফতানি আরও বাড়বে।
তবে নন কটন খাতে বাংলাদেশকে বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোতে পেট্রোকেমিক্যাল শিল্পে এগিয়ে থাকায় তারা কম দামে নন কটন দিয়ে তৈরি পোশাক সরবরাহ করতে পারে। যেখানে আমাদের নিজস্ব কাঁচামাল না থাকায় কাঁচামাল আমদানি করে নন কটন রফতানি করতে খরচ বেশি পড়ে। তাই এক্ষেত্রে সরকারের নীতিগত সহায়তা প্রয়োজন।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:০৩:৩৬ ৮৭ বার পঠিত