অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা ও ফসলি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা ও ফসলি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী
সোমবার, ৪ মার্চ ২০২৪



অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা ও ফসলি জমি রক্ষায় জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী

অনাবাদি জমি চাষের আওতায় আনা, ফসলি জমি রক্ষা এবং মজুতদারি রোধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুস শহীদ।
তিনি আজ সোমবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সেশনে এ সহায়তা চান।
ড. আব্দুস শহীদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকল পতিত জমি আবাদের আওতায় আনার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ইতিমধ্যে চিনিকল, পাটকল, বস্ত্রকল, রেলপথ এর পতিত জমি চাষের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। কোন অনাবাদি জমি আমরা খালি রাখতে চাই না। পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় আনার কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আবাদি জমির পরিমাণ দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তাই অকৃষি কাজে কৃষি জমির ব্যবহার ন্যূনতম পরিমাণ নিশ্চিত করা এবং উর্বর কৃষি জমি যাতে অধিগ্রহণ না করা হয় তা লক্ষ্য রাখতে হবে। এছাড়া, তিন ফসলী জমি কৃষি কাজের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে। কৃষি জমি সংরক্ষণের বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।
মজুদদারী রোধে মনিটরিং জোরদারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, কৃষিপণ্য অবৈধভাবে মজুদ করে অসাধু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান রমজানসহ সারাবছর যাতে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে না পারে, সেজন্য জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তর, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সমন্বয়ে গঠিত কমিটিকে তৎপর থাকতে হবে। এ বিষয় জেলা প্রশাসকগণ বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারেন।
কৃষি উৎপাদনের সাফল্য তুলে ধরে মন্ত্রী আরো বলেন, জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ও বৈশ্বিক সংকটের মধ্যেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে চাল উৎপাদন হয়েছে ৩৯১ দশমিক ২ লক্ষ মেট্রিক টন। এছাড়া অন্যান্য প্রধান প্রধান ফসলের মধ্যে ১১ দশমিক ৭০ লক্ষ মেট্রিক টন গম, ৬৪ দশমিক ৩১ লক্ষ মেট্রিক টন ভুট্টা ১১০ দশমিক ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন আলু ও ২২৫ দশমিক ৪১ লক্ষ মেট্রিক টন শাক-সবজি উৎপাদন হয়েছে। এছাড়া সরিষা উৎপাদন হয়েছে ১১ দশমিক ৬৩ লক্ষ মে. টন ও পেঁয়াজ ৩৪ দশমিক ৫৬ লক্ষ মে. টন।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বলেন, কৃষকেরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য মানসম্পন্ন বীজ সরবরাহ করতে হবে। বীজ থেকে চারা না গজালে বা অঙ্কুরোদগম না হলে, দায়ী ব্যক্তিদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে।
বিকালে সচিবালয়ে কৃষিমন্ত্রীর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (ইরি) প্রতিনিধিদল এবং এশিয়া প্যাসিফিক এসোসিয়েশন অব এগ্রিকালচারাল রিসার্চ ইনস্টিটিউশন (আপারি) এর প্রতিনিধিদল পৃথক বৈঠক করেন।
এছাড়াও ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি আল হামৌদি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
ইরির হেলদিয়ার রাইস প্রগ্রামের প্রজেক্ট লিডার রাসেল রেইনকের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে জিএমও গোল্ডেন রাইস জাত অবমুক্তির বিষয়ে কৃষিমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
তাঁরা জানান, ফিলিপাইনে গোল্ডেন রাইস চাষ হচ্ছে। এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
এসময় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮:২৫:৫৬   ৮০ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


বিএনপির নামে কেউ চাঁদা নিতে আসলে বেঁধে রাখবেন: সাখাওয়াত
কপ২৯ সম্মেলনে অনুদানভিত্তিক অর্থ বরাদ্দের আহ্বান পরিবেশ উপদেষ্টার
‘মুক্ত খালেদা জিয়া’ ছাত্র-জনতার আন্দোলনের অর্জন : নাহিদ ইসলাম
বাংলাদেশ-ভারত আলোচনায় হাসিনার প্রত্যর্পণের বিষয়টি উত্থাপন করা হতে পারে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে : অধ্যাপক ইউনূস
সেনাকুঞ্জের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে প্রধান উপদেষ্টার কুশল বিনিময়
রাষ্ট্রপতির সাথে তিন বাহিনী প্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
অংশীজনদের নিয়ে আগামী বছর জাতিসংঘের কনফারেন্স
রাজধানীতে তিন দিনব্যাপি মুদ্রা প্রদর্শনী শুরু
এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ