বঙ্গোপসাগরে অফশোর তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র আহ্বান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, সমুদ্র থেকে তেল-গ্যাস উত্তোলনে যেসব বিষয় সামনে রেখে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে সেখানে একদিকে যেমন দেশের স্বার্থ দেখা হয়েছে, অন্যদিকে বিদেশি কোম্পানিগুলো যাতে আগ্রহী হয় সেদিকেও নজর দেয়া হয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা) ভবনে বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা।
বিদেশি কোম্পানির বঙ্গোপসাগরের তেল-গ্যাস সংক্রান্ত আগ্রহ প্রসঙ্গে তৌফিক বলেন, আগেকার উৎপাদন বণ্টন চুক্তিতে (পিএসসি) বিদেশিরা আগ্রহী হতো না। এবার অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করার কথা চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে করে দাম নিয়ে কোনো ঝামেলা থাকবে না।
বিদেশি কোম্পানির ওপর আরোপিত কর প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, অনেক ক্ষেত্রে এবার কর ছাড় দেয়া হয়েছে, যা বিদেশি কোম্পানিগুলোর কাছে লোভনীয় প্রস্তাব। এমনভাবে পুরো ব্যাপারটিকে সাজানো হয়েছে যাতে করে দুই পক্ষেরই লাভ থাকবে বলে জানান তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী।
তিনি বলেন, দেশে অনেক বুদ্ধিজীবী আছেন যারা দেশের সম্ভাবনা ও সক্ষমতা নিয়ে নিরাশ। নতুন এ পিএসসি ও পিএসসির আলোকে আহ্বান করা দরপত্র সমালোচকদের মুখে ছাই দেয়ার সামিল।
এর আগে রোববার (১০ মার্চ) ‘অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস এক্সপ্লোরেশন আন্ডার বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড ২০২৪’ শীর্ষক পেট্রোবাংলার আহ্বান করা দরপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অফশোর মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট-২০২৩ অনুযায়ী সফল দরদাতাদের সঙ্গে চুক্তি সই হবে।
এবারের দরপত্রের চুক্তিতে বলা হয়েছে, মুনাফার পূর্ণ প্রত্যাবর্তন, কোনো অতিরিক্ত আর্থিক সুবিধা বা রয়্যালটি না থাকা, আন্তর্জাতিক নির্দেশকের আলোকে অপরিবর্তিত আকর্ষণীয় গ্যাসের দাম, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাজারমূল্যের ভিত্তিতে তেলের দাম নির্ধারণ করা হবে।
এছাড়া কর ছাড়ের মধ্যে পেট্রোলিয়াম পরিচালনার জন্য আমদানি করা যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রপাতির ওপর কোনো শুল্কারোপ করা হবে না। ঠিকাদারের করপোরেট আয়কর দায় পেট্রোবাংলা বহন করবে এবং ন্যূনতম অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য ব্যাংক গ্যারান্টি বহন করবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫:৩৭:৩৫ ৬৮ বার পঠিত