ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজার আল শিফা হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ২০ হামাস সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে ইসরাইল। তাদের মধ্যে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির এক র্শীর্ষ নেতাও রয়েছে। সেই সঙ্গে হাসপাতালের ভেতর থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও নগদ অর্থ উদ্ধারের দাবিও করা হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
অবরুদ্ধ গাজার আল শিফা হাসপাতাল ঘিরে রেখে ফের অভিযানে নেমেছে ইসরাইলি বাহিনী। সোমবার (১৮ মার্চ) হাসপাতালটিতে ব্যাপক হামলা চালায় সেনারা। আশপাশের বিভিন্ন ভবনে চালানো হয় বিমান হামলা।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর দাবি, হাসপাতালটিতে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা লুকিয়ে আছেন এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালায় তারা। এরই মধ্যে ওই নেতাসহ বেশ কয়েকজন হামাস সদস্যকে হত্যার দাবিও করেছে তারা। এছাড়া এ সময় দুই শতাধিক মানুষকেও আটক করা হয়। সেই সঙ্গে হাসপাতালের ভেতর থেকে হামাস ও ইসলামিক জিহাদ গোষ্ঠীর বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও নগদ অর্থ খুঁজে পাবার কথাও জানিয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী।
তবে আল শিফায় অভিযানের সময় হাসপাতাল ও এর আশপাশের এলাকায় হামাসের তীব্র প্রতিরোধের মুখে পড়তে হচ্ছে ইসরাইলি সেনাদের। এক বিবৃতিতে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠনটি জানিয়েছে, সোমবার দিনভর দুপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে নেতানিয়াহু বাহিনীর কয়েকজন নিহত ও বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যান ধ্বংসের দাবি করেছে হামাস।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি আল-শিফায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। ট্যাংক, ড্রোন এবং অস্ত্র ব্যবহার করে আল-শিফা মেডিকেল কমপ্লেক্সে হামলাকে ‘একটি যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে তারা। এদিকে, হাসপাতালটিতে ইসরাইলি অভিযানের খবর পাওয়ার পর আশপাশের এলাকা ছেড়ে দক্ষিণ দিকে পালাতে শুরু করেছেন নিরুপায় ফিলিস্তিনিরা।
এমন পরিস্থিতিতে সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ফোনালাপ হয়েছে। এ মসয় রাফাহতে স্থল অভিযানের পরিকল্পনা নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাইডেন।
পরে হোয়াইট হাউস জানায়, রাফাহ অভিযানের পরিকল্পনা এবং একটি সম্ভাব্য ‘বিকল্প পদ্ধতি’ নিয়ে আলোচনার জন্য ওয়াশিংটনে ইসরাইলি কর্মকর্তাদের একটি প্রতিনিধিদল পাঠাবে তেল আবিব।
বাংলাদেশ সময়: ১১:০৫:২৪ ৭৮ বার পঠিত