জেরুজালেমে অবস্থিত ইসরাইলের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে ১০ হাজার মানুষ। গাজায় ইসরাইলি বাহিনী হামলা চালানোর পর এটি সবচেয়ে বড় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ। এর মধ্যদিয়ে ইসরাইলে রাজনৈতিক বিভাজন আবারও প্রকাশ্যে ফিরল।
সোমবার (১ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গেল ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইলের রাজনৈতিক বিভাজন কিছুটা আড়ালে গেলেও এবার হাজারো বিক্ষোভকারী ইসরাইলের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।
চলমান যুদ্ধ ইসরাইলের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য তাদের সংকল্পকে আরও শক্তি দিয়েছে।
জেরুজালেম শহরের একটি প্রধান মহাসড়ক বেগিন বুলেভার্ড অবরোধকারী বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়ার জন্য পুলিশ দুর্গন্ধযুক্ত পানি ব্যবহার করেছে।
এই বিক্ষোভে নেতানিয়াহুর পদত্যাগ এবং আগাম নির্বাচনের দাবিতে স্লোগান উঠেছে। একইসঙ্গে গাজায় এখনও বন্দী ১৩৪ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্ত করার দাবিও জানানো হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে এই বন্দীদের অনেকেই মারা গেছেন।
বিক্ষোভকারীরা এবং নেতানিয়াহুর সমালোচকরা বলছেন, গণতন্ত্রের শত্রুরা এরইমধ্যে তার সরকারে ঢুকে পড়েছে। এর মধ্যে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচের নেতৃত্বে ধর্মীয় জায়োনিজম পার্টি অন্যতম।
৭ অক্টোবর ইসরাইলের দক্ষিণাঞ্চলে ভয়াবহ হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। হামলায় ১১৩৯ জনকে হত্যা এবং ২৫০ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় হামাস। এ ঘটনার পর নিরাপত্তা ইস্যুতে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন নেতানিয়াহু সরকার।
হামাসের ওই হামার পর গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরাইল। এতে এখন পর্যন্ত ৩২ হাজার ৭৮২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। যার মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু।
হামাসের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু পর গত বছরের নভেম্বরে কাতারের মধ্যস্থতায় ১০০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। অন্যদিকে এসব জিম্মিদের বিনিময়ে ইসরাইলের কারাগারে বহুদিন ধরে বন্দি থাকা বেশকিছু ফিলিস্তিনিদের মুক্তি দেয় তেল আবিব।
বাংলাদেশ সময়: ১১:৫২:৪৯ ৬০ বার পঠিত