আকস্মিক ঘূর্ণিঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে সুনামগঞ্জের দুই উপজেলার অন্তত ৭ শতাধিক বাড়ীঘর ও ২ শতাধিক দোকান লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। সেই সাথে শতাধিক গাছ ভেঙে পড়েছে সড়কে।
গত রোববার (৩১ মার্চ) রাত ১০টা থেকে সোমবার ভোর ৪টা পর্যন্ত থেমে থেমে সুনামগঞ্জে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দুই উপজেলার ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি, ২ শতাধিক দোকানপাট ও গাছপালা। এতে বেকায়দায় পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
এদের মধ্যে শান্তিগঞ্জ উপজেলার কামরূপদলং, সদরপুর, চন্দ্রপুর, আস্তমা, তালুকগাঁও ও পশ্চিম পাগলা গ্রামেই অন্তত ৫শ বাড়িঘর লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। একইভাবে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার জাহাঙ্গীর নগর ও লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের ২ শতাধিক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।
রোববার শুরু হওয়া ঘূর্ণিঝড়ের প্রথম ২০ মিনিটে চোখের নিমিষেই বাড়িঘর গাছপালা ভেঙে পড়ে। মানুষজন তখনও ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে ছিলেন। তারা কোনমতে পরিবার আর সন্তানদের নিয়ে ঘরের ভেতর থেকে বের হন। কিন্তু কোন আসবাবপত্র বা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বের করতে পারেননি। ঘরবাড়ি হারিয়ে এখন নিস্ব হয়ে গেছে মানুষ। সহায়তা চেয়েছেন প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধির কাছে।
তবে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সুকান্ত শাহ বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা দেওয়া হবে। তাদের ঘরবাড়ী নির্মাণর জন্য ঢেউটিন বিতরণ করা হবে। এই ঝড়ে প্রায় ৩শতাধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন বলেও জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:৫৮:৪৫ ১৪৩ বার পঠিত