জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেন, ভারতের নাসিক স্টেশনে পেঁয়াজ লোডের খবর শুনলে দেশে দাম কমতে শুরু করে; এই হচ্ছে বাজারের অবস্থা।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ভবনের সামনে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি।
ভোক্তার ডিজি বলেন, এমনিতে দাম কমানোর প্রশ্ন তুললে ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের যুক্তি দেখান। উপায়ন্তর না দেখে যখন আমদানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ঠিক তখনই তারা দাম কমিয়ে দেন। অসাধু চক্রের খপ্পরে বাজারের আচরণ এমন হয়ে গেছে।
ভারতের নাসিক স্টেশনে আমদানি করা পেঁয়াজ লোড হওয়ার খবর দেশে পৌঁছাতেই দাম কমা শুরু করে। এটা উল্লেখ করে ভোক্তার ডিজি বলেন, দর্শনায় পণ্য আসতে না আসতেই দেশের বাজারে দামের ব্যবধান হয় ২০-৩০ টাকা। যেসব ব্যবসায়ী বলছেন, তারা ৮০ টাকায় পেঁয়াজ কিনে ১২০ টাকায় বিক্রি করছেন, তারাই এক রাতের মধ্যে পেঁয়াজের দাম ৫০-৬০ টাকা কেজিতে নামিয়ে আনেন।
বর্তমান বাজারব্যবস্থা নিয়ে সফিকুজ্জামান বলেন, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর ঐকান্তিক চেষ্টায় বাজার এখন আগের থেকে অনেক স্বাভাবিক। আশা করা যাচ্ছে, ঈদের আগে পেঁয়াজের দাম আর বাড়বে না। পেঁয়াজের পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যের দামও যাতে স্বাভাবিক থাকে সেদিকে সর্বোচ্চ লক্ষ রাখা হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের মানসিকতা প্রসঙ্গে ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘দেশে একশ্রেণির ব্যবসায়ীদের মধ্যে নীতি-নৈতিকতার অনেক অভাব। এদের নীতিগত পরিবর্তন না আসার কারণে থেমে থেমে দেশের বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। আমাদের বর্তমানের যুদ্ধ এসব অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন টিবিসির চেয়ারম্যান মো. আরিফুল হাসান, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১২:২২:৪২ ৯৮ বার পঠিত