পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে মাদক কারবারসহ অপরাধ নিয়ন্ত্রণ এবং নির্বিচারে পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি কাটা বন্ধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী বাড়ির আশেপাশসহ পতিত জমিগুলোকে আবাদের আওতায় আনতে হবে। সামাজিক অপরাধ নির্মূলে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড বাড়াতে হবে।”
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে নিজের নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় প্রশাসনের আয়োজনে প্রশাসনিক ও আইন শৃঙ্খলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি কিছু মাদক কারবারি প্রচন্ডভাবে সক্রিয়, মানুষ মনে করছে তাদের সাথে প্রশাসনের যোগসাজস আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই যদি মাদককারবারিদের সাথে যুক্ত থাকে, তবে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। বিভিন্ন জায়গায় গাছ ও বালিবাহী গাড়ি থেকে ও ট্যাক্সি স্ট্যান্ড থেকে চাঁদা তোলা হয়। আবার এসবের সাথে যদি প্রশাসন যুক্ত হয় তাহলে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। এসবের সাথে দলের অনেকের নামও আসছে। যারা এসবের সাথে যুক্ত থাকবে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান মেহেবুবের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মারজান হোসাইন, রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, রাঙ্গুনিয়া মডেল থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী, দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মির্জা মোহাম্মদ হাসান, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মুহাম্মদ তৌহিদুল আলম, প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. শরমিন পলি ও উপজেলা প্রকৌশলী মো. দিদারুল আলম ।
ড. হাছান বলেন, আগে বাড়ি বাড়ি মানুষ হাঁসমুরগী পালন করতো, বাড়ির আশেপাশে বিভিন্ন সবজির আবাদ হতো। ঘরে ঘরে নিজেদের উৎপাদিত আলু-মিষ্টিকুমড়া জমা থাকতো। এখনো হচ্ছে কিন্তু তা আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে। কৃষি অফিসে বারোমাসি সবজির একটি ক্যালেন্ডার আছে, এসব মানুষকে দিতে হবে। এলাকায় এলাকায় গিয়ে সভা করতে হবে। তবেই মানুষ উদ্বুদ্ধ হবে চাষাবাদে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড আগে ছিলো কিন্তু ইদানিং তা কমে গেছে। এসব বাড়াতে হবে।
প্রশাসনকে নির্দেশনা দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘উপজেলার পোমরায় টায়ার পুড়িয়ে বিটুমিন কারখানা পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকলে এক সপ্তাহ সময় দিয়ে বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দিতে হবে। যারা পাহাড় কাটবে, ফসলি জমির টপসয়েল কাটবে, মাদকের সাথে যুক্ত থাকবে তাদের ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার তাগাদা দেন সংশ্লিস্টদের।
বাংলাদেশ সময়: ২৩:২৩:৫১ ৮৩ বার পঠিত