পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, নগর বনায়নে আমরা আগে কখনো তেমন নজর দিইনি কিন্তু এখন নগর বনায়নের দিকে আমরা নজর দিয়েছি। আমরা সেই বিষয়ে কাজ করছি। নগর বনায়ন করা গেলে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমানো যেতে পারে।
রোববার (২১ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ন্যাপ এক্সপো ২০২৪ আয়োজন বিষয়ে গণমাধ্যমকে প্রস্তুতির সর্বশেষ তথ্য অবহিতকরণ বিষয়ক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে আমরা যেই বিষয়টি লক্ষ্য করি যে জলবায়ু পরিবর্তনের যে ইমপ্যাক্ট সেটি আমরা কীভাবে মোকাবিলা করব। বাহিরের দেশে অনেকে যেখানে আজ জানতে চায় যে বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন কীভাবে হচ্ছে, ঠিক একই ভাবে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আমাদের ভূমিকা কি তা জানতে চায়।
বাংলাদেশ হচ্ছে গ্রাউন্ড জিরো অব ক্লাইমেট চেইঞ্জ। ন্যাপ এক্সপোতে ১৯৮ দেশের মধ্যে ঢাকায় ১০৪ দেশ অংশ নিবে। ১০৪ টি অংশগ্রহণকারী দেশের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৮৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী এই সম্মেলনের আওতায় এসেছে।
ন্যাপ এক্সপো ২০২৪ এ অংশগ্রহণের জন্য ১০৪ টি দেশের ৩৮৩ জন ইউএনএফসিসিতে রেজিস্ট্রেশন করেছে, যার মধ্যে ১১৪ জন বাংলাদেশি। এছাড়া, দেশের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ, জলবায়ু বিশেষজ্ঞবৃন্দ, এনজিওর প্রতিনিধিবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীসহ ৫৫০জন অংশগ্রহণ করবেন। ইউএনএফসিসিসি তে এ পর্যন্ত ৫৩টি দেশ জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) দাখিল করেছে।
এ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় বিভিন্ন দেশের অভিযোজন কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় থেকে সবাই পারস্পরিকভাবে উপকৃত হতে পারবে।
প্রথমবারের মতো ক্লাইমেট ডেভলপমেন্ট পার্টনারশিপ নিয়ে আমরা ভাবছি। ন্যাপ এক্সপোতে আমরা এই বিষয়গুলো তুলে ধরবো।
জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশ শুধু একটি ভিক্টিম দেশ না, আমরা সমাধান নিয়ে আসছি সেটিও আমরা জানাতে চাই।
ন্যাপ এক্সপোতে বাংলাদেশ বিভিন্ন সেশন আয়োজন করবে।
মোবিলাইজিং ডোমেস্টিক ক্লাইমেট ফাইন্যান্স: এক্সপেরিয়েন্স অব বাংলাদেশ- সেশনে নিজস্ব জলবায়ু ফান্ড বা ট্রাস্ট ফান্ড নিয়ে আলোচনা করা হবে।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থা থেকে জলবায়ু-সহিষ্ণু অবস্থার দিকে উত্তরণের জন্য ২০০৯ সালে নিজস্ব অর্থায়নে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা হয়, যা বিশ্বে বিরল একটি উদ্যোগ। আমাদের নিজস্ব সম্পদ থেকে এ তহবিলে এ পর্যন্ত ৪৯০ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির ওপর আমাদের তো নিয়ন্ত্রণ। নগর বনায়নে আমরা আগে কখনো তেমন নজর দেই কিন্তু এখন নগর বনায়নের দিকে আমরা নজর দিয়েছি। আমরা সেই বিষয়ে কাজ করছি। নগর বনায়ন করা গেলে ৩-৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমানো যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:৫৯:০৭ ৭৪ বার পঠিত