নেত্রীর জন্য জান দেবেন আর সিদ্ধান্ত মানবেন না, সেটা উচিত না - সমাজকল্যাণ মন্ত্রী

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » নেত্রীর জন্য জান দেবেন আর সিদ্ধান্ত মানবেন না, সেটা উচিত না - সমাজকল্যাণ মন্ত্রী
রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪



---

নেত্রীর (শেখ হাসিনা) জন্য জান দেওয়া নয়, বরং তাঁর সিদ্ধান্ত মানার আহ্বান জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ‘১/১১ এর সময়ে কারাবন্দি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির দাবিতে ২৫ লাখ গণস্বাক্ষর জমা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় একথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘মুখে মুখে আমরা নেত্রীর জন্য ‘জানও দিয়ে দেব’ বলে থাকি। কিন্তু নেত্রী দলের পক্ষ থেকে যে সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন, তা অনেক সময় মানি না। নেত্রীর তথা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে নিজেদের মতো চলবেন, এটা তো হওয়া উচিত না।’

আওয়ামী লীগ একটি গণতান্ত্রিক দল, এর সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াও গণতান্ত্রিক। নেত্রী কারও ওপর কিছু চাপিয়ে দিচ্ছেন না। প্রত্যেকের সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। মূল সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আমাদের মত থাকতে পারে। কিন্তু যখন সিদ্ধান্ত হয়ে যায়, তখন সেটা দলীয় সিদ্ধান্ত। হয় আমি সেই সিদ্ধান্ত মানব, না হয় আমি দল করবো না। সেই স্বাধীনতা আপনার আছে। কিন্তু আপনি দলও করবেন, নেত্রীর জন্য জানও দিয়ে দেবেন বলবেন, কিন্তু নেত্রীর নেতৃত্বে দলের যে সিদ্ধান্ত সেটা মানবেন না, তখন নিজেরা নিজের মতো চলবেন, এটাতো আসলে হওয়া উচিত না।’

ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের ছাত্রলীগ, যুবলীগ, কৃষকলীগসহ যত সংগঠন আছে-সব সংগঠনের সবার সামগ্রিকভাবে আমাদের বৃহত্তর যে আওয়ামী পরিবার আছে-আমাদের ঐক্য, আমাদের আদর্শের প্রতি ষোল আনা অঙ্গীকার ও শৃঙ্খলা থাকা জরুরি। কারণ, আমাদের যত অর্জন, বাংলাদেশের যত অর্জন সবকিছু এসেছে আওয়ামী লীগের মাধ্যমে। আর সেই অর্জনকে নস্যাৎ করে দেবার জন্য যে অপশক্তি, তারা বঙ্গবন্ধুর সময় যেমন ছিল, আজকেও তারা সক্রিয় আছে। অতএব, আমাদের ঐক্য, সংকল্পের দৃঢ়তা, দলীয় আনুগত্য যদি সুধরে রাখতে না পারি, তাহলে কিন্তু সেই অপশক্তি আবারও ছোবল হানবে। তাই দেশের বৃহত্তর রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব-ওই অপশক্তি যেন কখনও ছোবল মারতে না পারে, সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। সেই দায়িত্ব পালনে যেন আমরা কখনও পিছপা না হই। আমি মনে করি, সেটিই আমাদের অঙ্গীকার হওয়া উচিত। ’

মন্ত্রী আরো বলেন, ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই শেখ হাসিনাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আওয়ামী লীগকে ভাঙতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়ে সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ১১ জুন জনতার চাপে বাধ্য হয়েছিল শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে। মাত্র ১৫ দিনে ২৫ লাখ স্বাক্ষর সেই সময় সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল। আরেকটি ভূমিকা রেখেছিল আমাদের বর্ধিত সভা। যেখানে সারা দেশ থেকে নেতারা এসে সারা দেশকে জানিয়ে দিলো ‘নো শেখ হাসিনা, নো ইলেকশন’।

সাপ্তাহিক গণবাংলার প্রধান উপদেষ্টা এম এ করিমের সভাপতিত্ব ও সাবেক ছাত্র নেতা চন্দন কুমার ঘোষের পরিচালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার।

বাংলাদেশ সময়: ২২:২২:২৬   ১১২ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আমরা খুব ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হতে চাই, ওয়াং ইউবোকে প্রধান উপদেষ্টা
বোরো ধানের শীষে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্ন
নারায়ণগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে যুবকের যাবজ্জীবন
সেনাপ্রধানের সঙ্গে জাতিসংঘ আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ
সবার চিকিৎসার জন্য উন্মুক্ত হলো দেশের রেলওয়ে হাসপাতাল
ইতালিতে ‘বরবাদ’ দেখতে প্রবাসীদের ঢল
মানবসম্পদ উন্নয়নসহ উচ্চশিক্ষার ৬ খাতে সহযোগিতার আগ্রহ এএফডির
সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন
পলাতক সব এমপি মন্ত্রীদের আইনের আওতায় আনা হবে: শফিকুল আলম
পোপ ফ্রান্সিস মারা গেছেন

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ