ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক (ডিআর) অব কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমাতে জোড়া বোমা বিস্ফোরণে আশ্রয় নেওয়া বাস্তুচ্যুত মানুষের দুটি শিবিরে আঘাত হেনেছে। এতে শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছে। দেশটির সরকারি কর্মকর্তা, জাতিসংঘ এবং একটি সাহায্য গোষ্ঠী এই তথ্য জানিয়েছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার এই জোড়া বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশের রাজধানী গোমা শহরের কাছে ল্যাক ভার্ট এবং মুগুঙ্গার ক্যাম্পগুলোকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয় বলে জাতিসংঘ এক বিবৃতিতে বলেছে। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এ ঘটনায় আরো অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। কঙ্গোলিজ সামরিক বাহিনী এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিবেশী রুয়ান্ডার সামরিক বাহিনী এবং এম২৩ বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে এর হামলার জন্য দায়ী করেছে। তবে আজ শনিবার রুয়ান্ডা মার্কিন এই অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
রুয়ান্ডার সরকারের মুখপাত্র ইয়োল্যান্ডে মাকোলো বলেছেন, রুয়ান্ডা প্রতিরক্ষা বাহিনী (আরডিএফ) একটটি পেশাদার সেনাবাহিনী। ওরা কখনই বাস্তুচ্যুত লোকদের আক্রমণ করবে না। এক্স (সাবেক টুইটার)-এর একটি পোস্টে মাকোলো উল্টো কঙ্গোলিজ সামরিক বাহিনী সমর্থিত মিলিশিয়াদের ওপর এ হামলার দায় চাপিয়েছে।
অন্যদিকে একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কঙ্গো সরকারের মুখপাত্র প্যাট্রিক মুয়ায়াওি এ হামলার জন্য এম২৩-গোষ্ঠীকে দোষারোপ করেছেন।
গোষ্ঠীটি গত দুই বছরে উত্তর কিভুর বিভিন্ন অংশ দখল করেছে। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এম২৩ নিয়ন্ত্রিত এলাকা থেকে গোলা ছোঁড়া হয়েছিল। তবে গোষ্ঠীটি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং উল্টো ডিআরসি বাহিনীকে দায়ী করেছে।
শিবিরের একজন বাসিন্দা আল জাজিরাকে বলেছেন, যখন হামলা চালানো হয় তখন অনেকে তাদের তাঁবুতে ঘুমাচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘শিবিরে বোমা হামলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা দৌড়াতে শুরু করি।
আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন বলেছে, শিবিরের যখন এ হামলা হয় তখন তারা ক্যাম্পে উপস্থিত ছিল। তারা জানায়, হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে বেশিরভাগই নারী ও শিশু এবং মৃতের সংখ্যা এখনও অস্পষ্ট।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি বর্তমানে ইউরোপে সফরে ছিলেন। বোমা হামলার পর শুক্রবার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন বলে তার কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
সূত্র: আলজাজিরা
বাংলাদেশ সময়: ১৬:০৫:৪৪ ৮৭ বার পঠিত