আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছন, যুক্তরাষ্ট্র এখন সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করতে চায়। এতে বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তারা আবোল তাবোল কথা বলছে। বিএনপির আশার গুড়ে বালি পড়েছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন (১৯৮১)’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভা প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটি- সাপ্তাহিক জয় বাংলা এই সভার আয়োজন করে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিএনপি নেতারা এর কোনো কিছুই দেখতে পায় না। ফখরুল সাহেবরা কিছুই দেখতে পায় না। কালকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঘুরে যাওয়ার পর উনাদের মাথা আরো খারাপ হয়ে গেছে। উনারা আশা করেছিল কি না কি বলে। অনেক চেষ্টাও করেছিল দেখা-সাক্ষাৎ করার জন্য। কিন্তু তাদের আশার গুড়ে বালি দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বার্তা দিয়ে গেছে তারা সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চায়, এগিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আমরাও সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।
তিনি বলেন, এজন্য বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ। এখন নানা ধরনের কথা বলছে। আসলে বিএনপি এখন খেই হারিয়ে ফেলেছে। আগে দেখতাম গয়েশ্বর বাবু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল কবীর রিজভী আবোল তাবোল বলে, এখন দেখি আরও সিনিয়ররাও আবোল তাবোল বলা শুরু করছে, খেই হারিয়ে ফেলেছে। তো কেউ যখন আশার আলো দেখে না তখন তারা খেই হারিয়ে ফেলে। বিএনপির অবস্থা হচ্ছে সেটি।
বিএনপির প্রতি অনুরোধ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আপনারা যে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছেন, সে ষড়যন্ত্র করে কোনো লাভ হবে না। বরং আপনারা দেশ-বিরোধী ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন থেকে বাইরে থাকার যে পথ অনুসরণ করছেন এতে বিএনপির জন্যই আকাশটা ছোট হয়ে আসছে। সেই পথে যদি থাকেন এক সময় বিএনপি হাওয়ায় মিলিয়ে যাবে। আমরা চাই না বিএনপি আরও দুর্বল হোক। আমরা চাই বিএনপি আরও শক্তিশালী হোক এবং শক্তিশালী বিরোধী দলের দায়িত্ব পালন করুক। কারণ গণতন্ত্রকে সঙ্গত করতে হলে শক্তিশালী বিরোধীদলের প্রয়োজন রয়েছে। তারা সেই দায়িত্বটুকু পালন করুক সেটি আমরা চাই।
১৯৮১ সালের বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দেওয়া একটি বক্তব্যের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৭ই মে ১৯৮১ সালে যে বক্তব্য রেখেছিলেন; আমি মা-বাবা, ভাই-আত্মীয় পরিজন সবাইকে হারিয়ে এদেশের মানুষকে আপন করে নিয়ে আমি পথ চলতে চাই। জননেত্রী শেখ হাসিনা তাই করে চলেছেন। সেই কারণেই আজকে দেশ এগিয়ে চলেছে।
তিনি বলেন, তার এই পথযাত্রায় বহু প্রতিবন্ধকতা জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া করেছেন কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। শেখ হাসিনা দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হয়েছেন। তার হাত দিনে দিনে আরও শক্তিশালী হয়েছে। দেশকে আরও যদি এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় এই দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই।
স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজির সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের নেতা এম এ করিম, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির চেয়ারম্যান মো. সুমন সরদার, মহাসচিব এম এ বাশার, কো-চেয়ারম্যান সেহেলী পারভীন প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬:২৭:১৪ ৮৪ বার পঠিত