জুমার দিনে সুরা কাহাফ তেলাওয়াতের ফজিলত

প্রথম পাতা » ছবি গ্যালারী » জুমার দিনে সুরা কাহাফ তেলাওয়াতের ফজিলত
শুক্রবার, ৩১ মে ২০২৪



জুমার দিনে সুরা কাহাফ তেলাওয়াতের ফজিলত

ইসলামে জুমার দিনের অপরিসীম গুরুত্ব। দিনটিকে সাপ্তাহিক ঈদের দিন বলা হয়েছে। আর এদিন সুরা কাহাফ পাঠের অনেক ফজিলতের কথা বলেছেন নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

সুরা কাহাফ কোরআনের ১৫তম পারার ১৮ নম্বর সুরা। কাহাফ মানে গুহা। এ সুরায় ১১০টি আয়াত রয়েছে, আর রুকুর সংখ্যা ১২। সুরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে।

হাদিসের বর্ণনা অনুসারে সুরা কাহাফ তেলাওয়াতের অন্যতম ফজিলত হলো, এ সুরা পাঠ করলে মহান আল্লাহর বিশেষ রহমত বর্ষিত হয়। এক সাহাবি সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করছিলেন। তার বাড়িতে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। ঘোড়াটি তখন লাফালাফি করতে লাগল। তখন ওই সাহাবি শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করলেন। তখন তিনি দেখলেন, একখণ্ড মেঘ এসে তাকে ঢেকে দিয়েছে। তিনি নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে বিষয়টি উল্লেখ করলেন। তখন তিনি বললেন, হে অমুক! তুমি এভাবে তেলাওয়াত করবে। এটা তো প্রশান্তি ছিল, যা কোরআন তেলাওয়াতের কারণে নাজিল হয়েছিল। (বুখারি: ৩৬১৪)

কিয়ামতের দিন এ সুরা তার পাঠকারীকে আলোকিত করবে। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ পড়বে, তার পায়ের নিচ থেকে আসমান পর্যন্ত নূর প্রজ্বলিত হবে এবং কিয়ামতের দিন তার জন্য উজ্জ্বল হবে। আর দুই জুমার মধ্যবর্তী সব গুনাহ ক্ষমা করা হবে। (তাফসিরে ইবনে কাসির: ৬/৩৯৮)

প্রতি জুমায় এ সুরা তেলাওয়াত করলে এক জুমা থেকে অন্য জুমার মধ্যবর্তী সময়ের জন্য নূর প্রজ্বলিত করে রাখা হয়। আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

যে ব্যক্তি জুমার দিন সুরা কাহাফ তেলাওয়াত করবে, তার জন্য দুই জুমা পর্যন্ত নূর প্রজ্বলিত হবে। (সুনানে দারিমি ৩৪০৭)

সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত তেলাওয়াতের ফজিলত

মুসলমান হিসেবে সবারই পবিত্র কোরআন পড়া জরুরি। আর শুদ্ধভাবে তেলাওয়াত শেখা ফরজ। কেউ যদি পুরো সুরা পাঠ করতে না পারে, সে অন্তত এ সুরার প্রথম ১০ আয়াত তেলাওয়াত করতে পারে।

হযরত আবু দারদা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে আছে, নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,

যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্থ করবে, সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে নিরাপদ থাকবে। (মুসলিম: ৮০৯, আবু দাউদ: ৪৩২৩)

হাদিসে আরও আছে,

যে ব্যক্তি সুরা কাহাফের শেষ ১০ আয়াত পড়বে সে দাজ্জালের ফেতনা থেকে রক্ষা পাবে। (মুসনাদে আহমদ: ৪৪৬/৬)

বাংলাদেশ সময়: ১১:২৪:৫৮   ৪৭ বার পঠিত  




পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)

ছবি গ্যালারী’র আরও খবর


আজকের রাশিফল
আল কোরআন ও আল হাদিস
ভোলায় বিপুল অস্ত্রসহ ৭ সন্ত্রাসী আটক
আসাম-মেঘালয় সীমান্তে পাঁচ বাংলাদেশি আটক
শরীয়তপুরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উদযাপন
ফরিদপুরে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে জশনে জুলুসের শোভাযাত্রা
চেন্নাই পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল
আওয়ামী লীগের হাতে থাকা অবৈধ অস্ত্র জনগণের বিরুদ্ধে ব্যবহার হচ্ছে : রিজভী আহমেদ
চোরাচালান প্রতিরোধে কোস্টগার্ডকে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
জামায়াত ক্ষমতায় গেলে কিছু চাপিয়ে দেবে না: ডা. তাহের

News 2 Narayanganj News Archive

আর্কাইভ